নয়াদিল্লি: ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট চলছে মেলবোর্নে। কিন্তু, সোমবার সকাল থেকে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রইল দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা। সৌজন্যে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং BCCI-এর সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের একসঙ্গে ছবি। পাশে বিসিসিআইয়ের সচিব তথা অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বক্তব্যের শুরুতে শাহর মুখে উঠে এল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের নাম! তিনি বললেন, সৌরভের আসার কথা ছিল, গৌতম রয়েছে। তাই ভাবলাম এই অনুষ্ঠানে আমারই যাওয়ার উচিত।
সৌরভের রাজনীতিতে আসা নিয়ে বিভিন্ন মহলে এখনও জোর জল্পনা চলছে। কয়েকমাস আগে রাজ্য সফরে এসে এই প্রশ্নের জবাবে ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দেন শাহ। শেষবার বাংলায় এসে বিজেপির সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে জল্পনা আরও উস্কে দেন তিনি। শাহ বলেন, মমতাকে হারানোর জন্য বাংলার ভূমিপুত্ররাই যথেষ্ট, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলা থেকেই হবেন।
এই প্রেক্ষাপটে রবিবার আচমকা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌরভ। আর সোমবার শাহর সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় তাঁকে। তাৎপূর্ণভাবে একই দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সৌরভের জন্য তাঁদের দরজা খোলা। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট দেখা করতেই পারেন। আমি তো আগেই তো বলেছি। সবাইকে বিজেপি আহ্বান করছে। যারা সফল ব্যক্তি তাদের রাজনীতিতে আসা উচিত। রাজনীতির যে দুরবস্থা তার পরিবর্তন দরকার। বিজেপি তৈরি আছে সকলকে নেওয়ার জন্য আর লড়াইয়ের জন্য।
তৃণমূল অবশ্য বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, টিভিতে দেখলাম ভারত ভালই খেলছে অস্ট্রেলিয়ায়। আগে কয়েকটা ম্যাচ হেরে গিয়েছিল, এখন ভাল খেলছে। এগুলো ইঙ্গিতবাহী কিনা জানি না। আর কে কোথায় দেখা করল, এটা রাজনীতির অংশ নয়। কে কী করছে বলা সম্ভবও নয়। এই দেখা করার ফল হলে তাহলে রাজনীতির প্রশ্নের জিজ্ঞাসা হবে।যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই মহারাজ অবশ্য জল্পনায় জল ঢালার চেষ্টা করেছেন। তিনি ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিরোধী শিবিরের মুখ হতে পারেন বলে যে জল্পনা চলছে, তা নিয়ে সৌরভের স্পষ্ট কথা, না না এরকম কিছু নেই।


অতীতে সৌরভের নেতৃত্বে খাদের কিনারা থেকেও ম্যাচ জিতেছে ভারত। সেই ম্যাজিক কি ভবিষ্যতে দেখা যেতে পারে রাজনীতিতে? জল্পনা থামছে না।