আশাবুল হোসেন ও বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: সংসদে বিরোধী ঐক্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফাটল? 'কংগ্রেসের থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এটা দুর্ভাগ্যের', স্পিকার পদে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে মন্তব্য ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee Claims Unilateral Decision By Congress On Speaker Candidate)। সঙ্গে সংযোজন, 'এর পর সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'


বিশদ...
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে না জানিয়ে স্পিকার পদে প্রার্থী ঘোষণার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, স্পিকার-নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ জোড়াফুল শিবির। দিল্লিতে বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল সাংসদরা। তবে কি বিরোধী ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরল? স্পিকার নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেসের এই লড়াইয়ে কোন দিকে যাবে তৃণমূল? সূত্রের খবর, এ নিয়ে সন্ধের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে জোড়াফুল শিবির। তার আগে, অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের বৈঠক হয়। এই মুহূর্তে লোকসভায় কংগ্রেসের ১০০ জন সাংসদ রয়েছেন। তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ২৯। আগামীকাল কাল সকাল ১১টায় লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটি হতে চলেছে। সূত্রের খবর, তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন রাজনাথ সিংও। লোকসভায় এনডিএ-র হাতে ২৯৩ জন সাংসদ, 'ইন্ডিয়া' জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৩৪। এহেন অবস্থায় তৃণমূলকে না জানিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের লড়াইয়ে প্রার্থী ঘোষণার অভিযোগ বিরোধী ঐক্যের ছবিতে ধাক্কা দিতে পারে, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই ঐক্য যা, অষ্টাদশ লোকসভার গোড়া থেকেই তুলে ধরার চেষ্টা করে আসছে বিরোধী শিবির। 
নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ড হোক বা রেল দুর্ঘটনা, প্রথম থেকেই এনডিএ সরকারকে চাপে ফেলার পথে হাঁটতে চায় বিরোধী শিবির। সেখানে, স্পিকার নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে এই ছবিটা লক্ষ্যে বাধা হবে না তো? 


স্পিকার নির্বাচন...
এই প্রথম দেশে স্পিকার নির্বাচন হতে চলেছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোট এবারও ওম বিড়লাকে প্রার্থী করেছে। I.N.D.I.A জোটের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেসের কে সুরেশকে, যিনি আট বারের সাংসদ। ১৯৪৬ সাল থেকে এই প্রথম দেশে স্পিকার নির্বাচন হতে চলেছে। এতদিন এক ব্যক্তিকে সমর্থন করতেন সব পক্ষই। স্পিকার নির্বাচন ঘিরে যে টানাপোড়েন তৈরি হতে চলেছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরেই। স্পিকার পদে তাদের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন চেয়ে এক এক করে বিরোধীদের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাল্টা বিরোধীদের তরফে ডেপুটি স্পিকার পদের দাবি জানানো হয়, যা নিয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বিজেপি-র তরফে। ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত সংসদীয় রীতি অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদেরই প্রাপ্য ছিল। কিন্তু ২০১৪ শরিক AIADMK-র এম তাম্বিকে ডেপুটি স্পিকার নিযুক্ত করে বিজেপি। ২০১৯ সালে পদটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। এবার চাপ বাড়াতে শুরু করে বিরোধীরা।


আরও পড়ুন:অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা, কেশিয়াড়িতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের