নয়াদিল্লি: শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিকারক। তাই কোভিড-১৯ সংক্রমণের মোকাবিলার পন্থা হিসেবে মানুষের ওপর জীবাণুনাশক স্প্রে করার বিরুদ্ধে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।


মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদিও বা কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন, তাহলেও, তাঁর শরীরের বাইরের দিকে স্প্রে করলে ভেতরের ভাইরাস খতম হবে না। এছাড়া, স্প্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরের দিক বা পোশাক সত্যিই জীবানুমুক্ত হচ্ছে, তারও কোনও বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ নেই।


মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, মানুষের শরীরে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের মতো জীবাণুনাশক স্প্রে করার কার্যকারিতা কী? এই কৌশল স্রেফ সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলা ও স্থানীয় এলাকায় এই ঘটনার উল্লেখ করা হচ্ছে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রেকর মতে, জীবাণুনাশক হল সেই রাসায়নিক, যা রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণু ও অন্যান্য ক্ষতিকারক অনুজীবকে ধ্বংস করে। তবে, এর ব্যবহার নির্জীব বস্তুর ওপর করা হয়ে থাকে। কারণ, এই জীবাণুনাশকের রাসায়নিক ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী। রাসায়নিক জীবাণুনাশকের ব্যবহার কেবলমাত্র সেই সব বস্তু বা জায়গাগুলিকে সাফাই করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বা সুপারিশ করা হয়ে থাকে, যেগুলি শরীরের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে আসে বা যেখানে শরীরের যে কোনও বহিরংশের ছোঁয়া লাগার সম্ভাবনা প্রবল।


তবে, সাফাইয়ের সময় জীবাণুনাশক ব্যবহারের আগে, সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। যেমন, জীবাণুনাশক প্রক্রিয়া চালানোর সময় অবশ্যই গ্লাভস পরা উচিত। কিন্তু, কোনওভাবেই এবং কোনও অবস্থাতেই মানুষের ওপর স্প্রে করার সুপারিশ করা হচ্ছে না। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর রাসায়নিক জীবাণুনাশক স্প্রে করা শারীরির ও মানসিকভাবে ক্ষতিকারক।


মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ব্যক্তির ওপর ক্লোরিন স্প্রে করলে চোখে ও ত্বকে জ্বলন হতে পারে। এছাড়া, গা গোলানো ও বমি হতে পারে। সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট শ্বাসের মধ্যে গেলে নাক, গলা, শ্বাসপ্রণালীর শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে জ্বলন হতে পারে এবং ব্রঙ্কোস্প্যাজম হতে পারে।