শ্রীলঙ্কায় গোহত্যায় নিষেধাজ্ঞায় সিলমোহর ক্ষমতাসীন সরকারের, তবে আমদানি করা হবে গোমাংস ভক্ষণকারীদের জন্য
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 29 Sep 2020 08:25 PM (IST)
পাশাপাশি কৃষিকাজে ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না, এমন বয়স্ক গরু, গবাদি পশুদের ব্যাপারেও একটি কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন।
কলম্বো: দেশে গোহত্য়া নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে সায় দিল শ্রীলঙ্কা সরকার। এই সিদ্ধান্তকে আইনি সিলমোহর দেওয়ার প্রক্রিয়া যথাসময়েই সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন মন্ত্রিসভার মুখপাত্র জনসংযোগ মিডিয়া মন্ত্রী কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা। তবে গোমাংস ভক্ষণকারীদের জন্য তা আমদানি করা হবে। গত ৮ সেপ্টেম্বর শাসক দল, শ্রীলঙ্কা পড়ুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি)-র সংসদীয় গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের দেশে গোহত্যায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব অনুমোদন করে। দেশের ক্ষমতাসীন মন্ত্রিসভা বলেছে, বর্তমানে বহাল অ্যানিম্যাল অ্যাক্ট, গোহত্যা অর্ডিন্যান্স ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও নিয়মবিধি সংশোধনে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি কৃষিকাজে ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না, এমন বয়স্ক গরু, গবাদি পশুদের ব্যাপারেও একটি কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন। গোনিধন বন্ধের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়ে ক্যাবিনেট বলেছে, দেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। শ্রীলঙ্কার গ্রামীণ জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করায় গবাদি পশু, গোসম্পদের গুরুত্ব, অবদান বিরাট। বিভিন্ন দল, মহল উল্লেখ করেছে যে, গো-নিধন বেড়ে যাওয়ার ফলে প্রচলিত পদ্ধতিতে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পশুসম্পদ যথেষ্ট নয়। স্থানীয় ডেয়ারি শিল্পকে চাঙ্গা করার পথে বাধা হয়ে উঠছে পর্যাপ্ত পশুসম্পদের অভাব। ডেয়ারি শিল্প সমৃদ্ধ হলে গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রা যেমন সমৃদ্ধ হয়, তেমনই মিল্ক পাউডার আমদানির পিছনে বিদেশি লেনদেন বিনিময় মুদ্রার খরচও কমে। পাশাপাশি ক্যাবিনেট স্থির করেছে, যারা গোমাংস খায়, তাদের জন্য তা আমদানি করে দামে ছাড় দিয়ে সরবরাহ করা হবে। ২০১২-র সেনসাস অনুসারে শ্রীলঙ্কার ২ কোটির বেশি জনসংখ্যার ৭০.১০ শতাংশ বৌদ্ধ, ১২.৫৮ শতাংশ হিন্দু, ৯.৬৬ শতাংশ মুসলিম, ৭.৬২ শতাংশ খ্রিস্টান, অন্যান্য ০.০৩ শতাংশ। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তো বটেই, হিন্দুরাও গোমাংস খায় না।