নয়াদিল্লি: ফের কার্ফু জারি শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। আজ ১৬ মে, সোমবার রাত আটটা থেকে কাল মঙ্গলবার, ১৭ মে  ভোর পাঁচটা পর্যন্ত দেশজুড়ে কার্ফুর (Curfew) নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে কার্ফুর নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর থেকে রাজনৈতিক ডামাডোল (Political Turmoil) শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।  


এখনও ক্ষোভ:
মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষের (Mahindra Rajapaksa) সমর্থকদের সঙ্গে সরকার বিরোধীদের বারবার সংঘর্ষ হয়েছ। রয়েছে একাধিক প্রাণহানি। জখম হয়েছে দুশো জনেরও বেশি।  নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পরেও উত্তেজনা কমেনি। এতদিন কার্ফু চলছিল। রবিবার কার্ফু তুলে নেওয়া হয়, বুদ্ধপূর্ণিমার অনুষ্ঠানের জন্য়। যদিও ডামাডোলের কারণে উৎসব আয়োজন তেমন একটা হয়নি। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকেও (Ranil Wickremsinghe) একাধিক চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হচ্ছে। মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করলেও সরকার বিরোধী আন্দোলন দমেনি। রাজাপক্ষেকে গ্রেফতারের দাবিতে চলছে আন্দোলন। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের দাদা মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে। 






সঙ্কটে শ্রীলঙ্কা:
প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। কোভিডের (Covid) সময় থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা। দ্বীপরাষ্ট্রটির আয়ের একটি বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। কিন্তু, কোভিডের কারণে শূন্যে নেমেছিল পর্যটন (Tourism) থেকে আয়। তারপরেই সেদেশে চাষ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১০০ শতাংশ জৈব চাষের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়াই এমন কাজ শুরু হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে গোটা বিষয়টি। শ্রীলঙ্কায় চরমে পৌঁছয় খাদ্য সঙ্কট। এই সময়েই শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে চলে যায়। সব মিলিয়ে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এই কারণেই দেশ জুড়ে শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন। যা এখনও থামেনি। যার ফলে কীভাবে রাজনৈতিক সঙ্কট সামলে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য ফেরানো যাবে তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার।  


আরও পড়ুন: এই টাকার লেনদেনে প্যান-আধার বাধ্যতামূলক , এই তারিখ থেকে কার্যকর হবে নিয়ম