কলকাতা: যখন বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কখনও চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু, তো কখনও ভর্তির টাকা না জমা করায় রোগীর চিকিৎসা না করার মতো ভুরিভুরি অভিযোগ উঠছে, সেই সময় আদর্শ উদাহরণ স্থাপন করল চার্নক হাসপাতাল। নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুললেন এই বেসরকারি হাসপাতলের কর্মীরা।
উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা সঞ্জয় হাজরা গত ২০ তারিখের করোনা আক্রান্ত হয়ে চিনার পার্কের কাছে চার্নক হাসপাতালে ভর্তি হন।
ভর্তি থাকাকালীন দেখা যায় তাঁর হাতে একটি সমস্যা রয়েছে। নিজের উদ্যোগে এই অস্ত্রোপচার করেন সপ্তর্ষি রায়। সেই অনুযায়ী তিনি সমস্ত ব্যবস্থা করেন এবং শেষ সময় দেখা যায় রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না দেখে পরিবারের লোকজন ভেঙে পড়েন। সেই সমস্ত দেখে চার্নক হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিক থাকতে পারেননি। তাঁরা ভাবেন একজন রোগী রক্ত না পেয়ে এইভাবে মারা যাবে?
এরপর এই হাসপাতলে আলোচনা শুরু হয় কর্মীদের মধ্যে তারই মাঝে চার্নক হাসপাতালের সাতজন কর্মী এগিয়ে আসেন এবং তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেয় ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁরা রক্ত দেবেন।
এর পরেই ৯ তারিখ এবং ১১ তারিখে রক্ত দেন তাঁরা। শেষমেশ, ১১ তারিখে অপারেশন হয়। সপ্তর্ষি রায়ের অধীনে এখন রোগী পুরোপুরি সুস্থ।
এই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল চিনার পার্কের চার্নক হাসপাতাল। অন্যান্য হাসপাতাল এর কাছে চার্নক হাসপাতালের আবেদন, এইভাবে অন্যান্য হাসপাতাল যাতে এগিয়ে আসে। সেই আবেদন করেন চার্নক হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা।