কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে নতুন তথ্য।
অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপরাষ্ট্রে। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের।
সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে পালানোর পর, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে নিজের ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দেন গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভারতীয় দূতাবাসে বিনয় জানান, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু-র নাগরিকত্ব নেওয়ায় তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দিচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই এই তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে সিবিআই। যোগাযোগ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে। খবর সিবিআই সূত্রে।
প্রায় ৬ মাস ধরে বেপাত্তা কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সন্ধান পেতে ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিস জারি করার আবেদন করেছিল সিবিআই।
গতমাসের শেষের দিকে সিবিআই জানায়, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল তাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর,ভিন্ দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার এক দেশ থেকে আরেক দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিনয় মিশ্র।
ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিস জারি করায় বিদেশের কোনও বিমানবন্দরে গেলে বিনয় মিশ্রর অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য জানা সম্ভব বলে সিবিআইয়ের দাবি।
রেড কর্নার নোটিস জারি হওয়ার পর, আরও নড়েচড়ে বসে সিবিআই। বিনয় মিশ্রের সম্পত্তি অ্যাটাচ করার জন্য আসানসোলের বিশেষ আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই।
এর আগে বিনয় মিশ্রর রাসবিহারীর বাড়ি অ্যাটাচ করে ইডি। সিবিআই সূত্রে খবর, একক মালিকানা ছাড়াও, এখনও বেশ কিছু জমি, বাড়ি, অফিসের শেয়ার বিনয় মিশ্রের নামে রয়েছে।
বিশেষ আদালতের অনুমতি পেলে, সেই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে, কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার জমি, বাড়ির মতো স্থাবর সম্পত্তি দখল করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে সিবিআই।