বীরভূম: বিচারকের উদ্যোগে জুড়েছিল প্রায় ভাঙতে বসা সম্পর্ক। কিন্তু, ভিতরে ভিতরে ফাটল যে রয়েই গিয়েছিল, তা পরিষ্কার হয়ে গেল দু’মাসের মধ্যেই। ফের স্বামী-শ্বশুরের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে সিউড়ি আদালতের দ্বারস্থ হলেন গৃহবধূ অহনা দাস।
কে এই অহনা দাস? ১৭ জানুয়ারি সিউড়ি আদালতে স্বামী গৌতমের থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চান তিনি।কিন্তু, বিচারক দম্পতিকে বলেন, আপনারা তিনদিন সিউড়ির একটি ভাল হোটেলে থাকুন। যাবতীয় খরচ আমার। দু’জনে একসঙ্গে থাকার পর কী মনে হল ১৯ জানুয়ারি আমায় জানাবেন।সেই তিন দিনেই মুছে যায় সব অভিমান। আদালতে হাজির হয়ে গৌতম-অহনা জানান,তাঁদের সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চান।
একসঙ্গে বাড়িও ফিরে যান তাঁরা। কিন্তু, অহনার দাবি, ক’দিন যেতে না যেতেই ফের তাঁর ওপর মানসিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী ও শ্বশুর। অসুস্থ হয়ে বাবার বাড়িতে চলে গেলে শ্বশুরবাড়িতে কেউ তাঁর খোঁজও নেয়নি।
অভিযোগ জানিয়ে ফের সিউড়ি আদালতের বিচারককেই চিঠি দেন অহনা। বিচারক পুরো বিষয়টা জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রে পাঠান। সোমবার গৌতম-অহনাকে ডেকে পাঠানো হয়। গৌতম এলেও, অহনা অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি।
দু’জনকে ফের আরেকদিন ডেকে পাঠানো হবে বলে আদালত সূত্রে দাবি। তবে এসব নিয়ে গৌতম বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।