উত্তর ২৪ পরগনা: অটো-দৌরাত্ম্য রুখতে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সরকার। কিন্তু, তারপরেও দৌরাত্ম্য কমছে কোথায়? অটোর রেষারেষির জেরে ফের দুর্ঘটনা। মৃত্যু এক যাত্রীর। এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কাছে বিড়া।
বুধবার সকালে জয়পুলে, যশোর রোড ধরে ডিএন চুয়াল্লিশ রুটের একটি বাস বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছিল। অটোটি আসছিল বারাসত থেকে বিড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আরেকটি অটোকে ওভারটেক করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বাস-অটোর মুখোমুশি সংঘর্ষ হয়। অটোটি গিয়ে পড়ে পাশের নয়ানজুলিতে।
অটোতে চালক-সহ ছিলেন চারজন। তার মধ্যে রঘুনাথ শীল নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। বাকিদের ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। বারাসত-বিড়া কিংবা বারাসত-শ্বেদপুর অটোরুটগুলিতে নিয়ম ভাঙাই যেন নিয়ম-- ঝুলে ঝুলে অটোযাত্রা। জেলা প্রশাসনের দাবি, অটো-দৌরাত্ম্য রুখতে তারা ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু, অটো-দৌরাত্ম্যের ছবিটা বদলাচ্ছে কোথায়? প্রশ্নটা ফের তুলে দিল এদিনের দুর্ঘটনা।
রাজারহাটের শিখরপুরে আবার অন্য অভিযোগ। এ দিন সেখানে অটোর পিছনে এসে একটি বাস ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এতে বাস চালকের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেন অটোচালক। যদিও, বাসচালকদের দাবি, অটোগুলি সবসময় বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ায়। সেখানেই যাত্রী ওঠায়-নামায়। এর জেরেই যত বিপত্তি।
এ দিনই আবার বিবেকানন্দ রোডে পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য অটোর পিছনে এসে ধাক্কা মারে একটি বাইক। মহম্মদ ওয়াসিদ নামে বাইক আরোহী রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় টাটা সুমো। বাইক আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না বলে সূত্রের খবর। ঘাতক টাটা সুমোটি বাজেয়াপ্ত করে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ। চালক পলাতক।