হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উরির সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানের শেষকৃত্য। গার্ড অফ অনার, গান স্যালুটে চিরবিদায়।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা সিপাই গঙ্গাধর দলুইয়ের দেহ গতকাল গভীর রাতে বাড়িতে পৌঁছনোর পরে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার-পরিচিতরা। নিহত জওয়ানকে গার্ড অফ অনার ও গান স্যালুটে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা। ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোরে শহিদ জওয়ান গঙ্গাধর দলুইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
গতকাল রাতেই দুই শহিদ গঙ্গাধর দলুই এবং বিশ্বজিৎ ঘড়াইয়ের দেহ আনা হয় কলকাতায়। বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কম্যান্ড হাসপাতালে। এরপর দুই জওয়ানের দেহ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বিশ্বজিৎ ঘড়াইয়ের দেহ। এদিন সকাল ৯টা ৫০ বায়ুসেনার বিশেষ হেলিকপ্টচারে সাগরের হেলিপ্যাডে আসে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা এবং এসপি সুনীল চোধুরী। বেলা ১১টা ১৫ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রাজ্য সরকার তরফে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার।
এই কঠিন সময়ে বীর শহিদদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিহত জওয়ানদের পরিবারকে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দুই পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, সরকারি চাকরি সহ অন্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন মমতা নবান্নে মমতা বলেন, আমরা আগে সিআরপিএফ-এর ক্ষেত্রেও একই ভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। মানবিকতার খাতিরে আমরা পরিবারের কাউকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছি।