কলকাতা: কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ভাতা বাড়াল রাজ্য সরকার। ৫ হাজারের বদলে এবার বছরে মিলবে ১০ হাজার টাকা। যাঁদের এক একরের কম জমি রয়েছে, এবার থেকে ৪,০০০ টাকা ভাতা পাবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে, এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই কৃষকদের দেওয়া সেই কথা রাখলেন মমতা। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রবি ও খরিফ শষ্য চাষের মরশুমে দু-দফায় একর প্রতি ৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১৮-৬০বছর বয়সি কোনও কৃষকের মৃত্যুতে পরিবারকে এককালীন দু-লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেয় রাজ্য। এতদিন রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সেই মতোই বছরে ৫ হাজার টাকা করে পেতেন কৃষকরা। এই টাকা সময়মতো তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেত। এবার থেকে কৃষকরা বার্ষিক ১০ হাজার টাকা পাবেন অ্যাকাউন্টে। আর এবার রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি কৃষকমহল।
উল্লেখ্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত হুগলি জেলার আড়াই লক্ষের বেশি চাষি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে টাকা। গত শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছিল হুগলির কৃষি দফতর। প্রশাসনের এই ঘোষণায় চিন্তায় পড়েছেন প্রকল্পে নথিভুক্ত নন এমন কৃষক ও ভাগচাষিরা। যদিও, সবাইকেই ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
ইয়াসের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জেরে, হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষতি হয়েছে চাষের। গাছের গোড়ায় জল জমে, জমিতে নষ্ট হয়েছে ফসল। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, হুগলিতে মোট ১ হাজার ৯৭৩টি মৌজায় কৃষিতে আর্থিক ক্ষতি প্রকট।
৪২ হাজার হেক্টর জমিতে তিল, ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম এবং ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট সহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। করলা, কচু, কপি, ঢ্যাঁড়স, টমেটো, ঝিঙে, মাঠেই নষ্ট হচ্ছে সবজি। সিঙ্গুর, তারকেশ্বর, হরিপালে কৃষকদের মাথায় হাত।