পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার দারকেশ্বর নদের তপোবন ঘাট থেকে উদ্ধার হল বহু প্রাচীন একটি শিলা মূর্তি। 


আজ সকালে দারকেশ্বর নদের ওই ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দারা বালি তোলার সময় আচমকাই বালির তলা থেকে ওই মূর্তি বেরিয়ে আসে। এরপরই গ্রামবাসীরা স্থানীয় ওন্দা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। 


চার ফুটের এই মূর্তিটির শরীরে উপবীত ও বনমালা বেষ্ঠিত রয়েছে। মূর্তির চারটি হাতের মধ্যে একটি হাত ভেঙে গেলেও বাকি তিনটি হাতে শঙ্খ,  চক্র ও পদ্ম আয়ুধ রয়েছে। 


মূল মূর্তির চারিদিকে খদিত রয়েছে বেশ কয়েকটি সম মূর্তি। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এটি বিষ্ণুর বামন অবতারের মূর্তি। গবেষকদের দাবি, মূর্তিটি সম্ভবত খ্রিস্ট চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মধ্যে খদিত হয়েছিল। যে পাথরে এই মূর্তিটি খদিত হয়েছিল তা স্থানীয় পাথর নয় বলেই ধারণা গবেষকদের। 


গবেষকদের ধারণা আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের একাংশে পাওয়া ইয়েলো ক্লোরাইট পাথর খোদাই করে এই মূর্তি তৈরী করা হয়েছিল।


কিন্তু সেই মূর্তি দ্বারকেশ্বরের নদীগর্ভে কিভাবে এল তা অবাক করেছে অনেককে। গবেষকদের দাবি, আজ থেকে দেড় হাজার বছরের আগে দ্বারকেশ্বর নদের দু'তীরে এক উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।


যে সভ্যতার সঙ্গে বানিজ্যিক কারণে নীবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে। এই মূর্তি উদ্ধার সেই সম্পর্কের দলিল বলে দাবি গবেষকদের।