মুর্শিদাবাদ: ফের মুর্শিদাবাদে স্ক্রাব টাইফাসের মারণ-থাবা। বহরমপুরে একদিনে জোড়া মৃত্যু। এনিয়ে একমাসের মধ্যে জেলায় স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু হল ৪ জনের। দুঃখজনক ঘটনা, খতিয়ে দেখা হবে আশ্বাস স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর।
মুর্শিদাবাদে গুপ্ত ঘাতকের নাম ট্রম্বিকিউলিড মাইটস।রোগের নাম স্ক্রাব টাইফাস।
বৃহস্পতিবার এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হল।
মৃতদের একজন তমান্না ফিরদৌস।বাড়ি - বহরমপুরের ডাবকই গ্রামে।
পরিবার সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে জ্বর হয় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। প্রথমে ব্লক হাসপাতালে চিকিত্সা হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, বুধবার ওই ছাত্রীকে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় ১৫ বছরের ওই কিশোরীর।
স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু হয়েছে বেলডাঙার কুমারপুরের বাসিন্দা শ্যামল প্রামাণিকেরও। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর হওয়ায় ১ ডিসেম্বর, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৪৬ বছরের ওই ব্যবসায়ীকে।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩ ডিসেম্বর তাঁকে বহরমপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।
মুর্শিদাবাদে স্ক্রাব টাইফাসে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, দুঃখজনক ঘটনা...কেন হল খতিয়ে দেখছি।
এর আগে মুর্শিদাবাদে আরও ২ জনের স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু হয়।
গত ১৩ নভেম্বর কলকাতার হাসপাতালে, স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় হয় মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার দাগাপাড়ার বাসিন্দা ৫০ বছরের মহাদেব মণ্ডলের।
২২ নভেম্বর একই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহরমপুরের হাসপাতালে মারা যান, নবগ্রামের অমৃতকুন্ডুর বাসিন্দা ৩৩ বছরের তরুণ সরকার।এবার ফের হানা দিল স্ক্রাব টাইফাস।