নদিয়া: ফের সোশাল সাইটে সম্মানহানির অভিযোগে ধানতলায় ‘আত্মঘাতী’ কলেজছাত্রী। নবদ্বীপে ‘আত্মঘাতী’ তরুণী। নদিয়ার জোড়া ঘটনায় অকালে ঝরে গেল দুই তরুণীর প্রাণ। আর জোড়া ঘটনাতেই কমন ফ্যাক্টর প্রত্যাখ্যানে প্রতিশোধ।
নদিয়ার ধানতলার বাসিন্দা, বিএ প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন সুফল দাস নামে এক যুবক।
সম্পর্ক তৈরির জন্য ছাত্রীর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাজি হননি ছাত্রী।
মৃতের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি ছাত্রীকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে, জোর করে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তোলেন ওই যুবক। এরপর ছবিগুলি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানাজানি হতে, সোমবার অপমানে বাড়িতে কীটনাশক খান ছাত্রী। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার কলকাতার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কলেজছাত্রীর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধানতলা থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত এখনও অধরা। নদিয়ার নবদ্বীপেও এক ছবি। এখানে হেনস্থার অভিযোগ, স্বামীর বিরুদ্ধেই। আত্মঘাতী তরুণী। এমনটাই দাবি পরিবারের। মৌমিতা সাহা। বাড়ি নদিয়ার প্রাচীন মায়াপুরে। ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়তেন নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে।
ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন নবদ্বীপের পোড়াঘাট এলাকার যুবক সঞ্জয় সাহাকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আরও পড়তে চাওয়ায় মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন মৌমিতা। বলে দিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখবেন না।
পুরনো সবকিছু ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু স্ত্রীর সেই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারেননি স্বামী।
অভিযোগ, দলবল নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালান সঞ্জয়। শুধু তাই নয় মৃতের পরিবারের দাবি, মৌমিতার নামে সোশ্যাল সাইটে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁর বিয়ের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তরুণীকে সোশাল সাইটে বদনামের চেষ্টা করা হয় বলে দাবি পরিবারের।
এরপরই চরম সিদ্ধান্ত! দুই ঘটনাতেই না বলার মাসুল গুণতে হল দুই তরুণীকে।