শিলিগুড়ি: ভারতে করোনা সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।
এই অবস্থায় উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ। এই রোগে আক্রান্ত আরও দু’জনের মৃত্যু হল এরাজ্যে। মৃতরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রথমজন শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। অপর মৃতার বাড়ি জলপাইগুড়ির গজলডোবায়।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া ২৪ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় জানা যায় তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত। ২৬ তারিখ অস্ত্রোপচারের পর মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
পরিবার সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়া করোনা আক্রান্তও হয়েছিলেন। তবে সেরে ওঠার পর, ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে আরও খবর, গজলডোবার বাসিন্দা এক মহিলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৪ দিন আগে ভর্তি হন। পরে জানা যায় তিনি মিউকরমাইকোসিসেও সংক্রমিত। মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যান ওই রোগিণী।
এর আগে সোমবার রাতে, মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনামুক্ত হওয়ার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন জগদ্দলের ওই প্রৌঢ়া। তিনি মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিলেন।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৭ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ভর্তি হন। তার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেও মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের রিপোর্ট দ্রুত পেতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আনা হচ্ছে, এক ধরনের রাসায়নিক।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩৬ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
প্রসঙ্গত, গতকালই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মহামারী সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করুক। এক, অ্যাম্ফোটেরিসিন বি-র জোগান পর্যাপ্ত নয়। সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? দুই, রোগীরা এই ওষুধ পাবেন কীভাবে? তিন, রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে মোদি সরকার কেন সাধারণ মানুষকে নিয়মের ফাঁদে ফেলছে?