জলপাইগুড়ি: ডায়মন্ডহারবারের পর এবার জলপাইগুড়ির মালবাজার। ফের সন্দেহের বশে গণপিটুনি এবং মৃত্যু।


 

ছাগল চোর সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ছাগল চুরির অভিযোগ মানতে নারাজ মৃতদের পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই মালবাজারের ডামডিং চাবাগান এলাকায় একের পর এক ছাগল চুরি হচ্ছিল। রবিবার গাড়িতে ৫ যুবককে এলাকায় ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের একাংশের।

 

এরপর ওই ৫ যুবককে ধরে ফেলে তারা। ছাগল চোর সন্দেহে শুরু হয় গণপিটুনি। কোনও মতে পালিয়ে যায় ৩ যুবক। বাকি ২ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের পর যে গাড়িতে করে ওই যুবকরা এসেছিলেন, সেই গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা।

 

হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দুই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতদের নাম, অজয় রায় ও গোপাল সিংহ। তাঁরা দু’জনেই পেশায় গাড়ি চালক। এমনকী অজয়ের নিজের একটি গাড়িও রয়েছে। পরিবারের দাবি, ছাগল চুরির সঙ্গে কোনওভাবেই  জড়িত নন অজয়। নেপথ্যে গভীর চক্রান্ত রয়েছে।

 

এভাবে দুই যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে মালবাজারের গাড়ি চালকদের সংগঠন।

 

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আদৌ ওই যুবকরা ছাগল চুরি করতে এসেছিলেন কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার পর কার্যত জনশূন্য ডামডিং চাবাগান এলাকা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

 

কিন্তু নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, কেউ কি দামী গাড়ি চেপে ছাগল চুরি করতে আসে? গাড়ি করে ছাগল চুরি করার কি ঘটনা আগে শোনা গিয়েছে? আর যদি কেউ ছাগল চুরি করেও, তাহলেও তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার কে দিয়েছে? যে কোনও কাউকে চোর-ডাকাত তকমা দিয়ে এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার এই প্রবণতা হঠাৎ করে কেন দিকে দিকে তৈরি হচ্ছে? এর নেপথ্যে কি বিশেষ কোনও অভিসন্ধি রয়েছে?