অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা ২১ টি ‘হিমালয়ান গ্রিফন’ প্রজাতির শকুনকে সুস্থ করার পর প্রকৃতির কোলে ছাড়া হল বক্সার জঙ্গল থেকে। প্রায় ৯০ শতাংশ বিলুপ্ত এই প্রজাতির শকুনকে মুক্ত করতে পেরে স্বস্তির হাওয়া বনদপ্তরে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, গত ২৭ মার্চ জলপাইগুড়ি জেলার একটি ময়দান থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২১-টি হিমালয়ান গ্রিফনকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল বক্সায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত রাজ্য বনদপ্তর এবং বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি (BNHS)-এর যৌথ প্রকল্প রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে প্রানী চিকিৎসকদের প্রবল চেষ্টায় প্রায় ১৭ দিনে শকুনগুলি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে বলে বনদপ্তরসূত্রে খবর । ফলে মঙ্গলবার বিকেলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (পশ্চিম)-এর পূর্ব দমনপুর রেঞ্জের জঙ্গলে অধিকর্তা বুদ্ধরাজ শেওয়া এবং আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের উপস্থিতিতে এই ২১ টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনকে মুক্ত করা হয়, বলে জানায় বন দপ্তর।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি এই রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকেই জন্ম নেওয়া ৮ টি শকুন মুক্ত করা হয়েছিল প্রকৃতির কোলে। তার প্রায় ৯৬ দিনের মাথায় অসুস্থ ২১-টি শকুনকে চিকিৎসায় সুস্থ করে প্রকৃতির কোলে ফিরিয়ে দিতে পারায় খুশি বনদপ্তর।
এর আগে মালব্লকের পশ্চিম ডামডিম এলাকার খাগরা বস্তির এক ফাঁকা মাঠ থেকে ১৫টি মৃত ও ২৫টি অসুস্থ হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন উদ্ধার করে মালস্কোয়াড ও তারঘেরা রেঞ্জের বনকর্মীরা ৷ আচমকাই একগাদা শকুনের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় ৷ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পশুপ্রেমীরা ৷ একটি মৃত গরু খেতে এসে শকুনগুলি মরে পড়ে থাকে মাঠের মধ্যে ৷ বেশ কয়েকটি শকুন অসুস্থ ছিল ৷ সেগুলিরই চিকিৎসা চলছিল ৷ শকুনগুলি সবই হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির ৷ অসুস্থ শকুনগুলিকে লাটাগুড়ি এনআইসি-তে নিয়ে যাওয়া হয় ৷