হাওড়া: স্কুলে ফের পোশাক-ফতোয়া! এবার শিরোনামে হাওড়ার জয়পুরের কাসমূলী নাগনা হাইস্কুল। অচলাবস্থার জেরে বন্ধ পঠনপাঠন।
স্কুল সূত্রে খবর, বাংলার শিক্ষিকা শুভ্রা দাস সালোয়ার কামিজ পরে স্কুলে আসায় আপত্তি তোলে অভিভাবকদের একাংশ। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে স্কুল পরিচালন সমিতি। সিদ্ধান্ত হয়, শালীনতা বজায় থাকে এমন পোশাক পরে স্কুলে আসতে হবে ওই শিক্ষিকাকে।
অভিভাবকের মতো শিক্ষিকার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পড়ুয়াদের একাংশও। স্কুলে পড়েছে পোস্টার। এক ছাত্রী বলে, শিক্ষিকা প্রচুর সাজগোজ করে। এটা আমাদের পছন্দ নয়। ফ্যাশন করছে।
এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দলুই বলেন, গ্রামীণ এলাকা। গরিব ছাত্রছাত্রী। বেশি সাজপোশাক পড়ে আসা শোভনীয় নয় বলে অভিভাবকরা জানায়। এর প্রেক্ষিতে স্কুল পরিচালন সমিতি সভা ডাকে। ওনাকে বলা হয় শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরে আসতে হবে। ওনাকেও সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অভিযোগকারী শিক্ষিকার অভিযোগ, পোশাক-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁকে স্কুলে হেনস্থা শিকার হতে হচ্ছে। চলছে মানসিক নির্যাতন।
শুভ্রা দাসের দাবি, নানা বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নানাভাবে হেনস্থা করছে। মানসিক চাপ দিচ্ছে। এসডিও-র কাছে মে মাসে অভিযোগ দায়ের করেছি। বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
যদিও সমস্যা এড়িয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি বদলি চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে চায় পড়ুয়ারা। এনিয়ে মঙ্গলবার স্কুলে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনার জেরে স্কুলে অচলাবস্থা। দু’দিন ধরে বন্ধ পঠনপাঠন।
হাওড়া স্কুলের এই ছবি দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন শিক্ষিকা কী পোশাক পরে স্কুলে আসবেন, তা দেখা কি পড়ুয়া কিম্বা অভিভাবকদের কাজ? পড়াশোনার মান নিয়ে তাঁদের কোনও বক্তব্য থাকতেই পারে, কিন্তু পঠনপাঠন সংক্রান্ত বিষয় বাদ দিয়ে শিক্ষিকার পোশাককেই কেন ইস্যু করা হচ্ছে? শিক্ষিকা কোন পোশাক পরে স্কুলে আসবেন, তা নিয়েই বা স্কুল পরিচালন সমিতির এই নীতি পুলিশ-গিরি কেন? উত্তর নেই কোনও প্রশ্নের।