কলকাতা: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে আসরে নামল সরকার। ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে না রাজ্য। দাবি মুখ্যসচিব মলয় দে-র।
মুখ্যসচিব বলেছেন, সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। আক্রান্ত ১৮ হাজার ২৩৮ জন। গত বছর এই সময় পর্বে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪০ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০,১৪০।
এই পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যসচিব বলেছেন, গত বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি ছিল। চলতি বছরে অস্বাভাবিক কিছু নেই। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।


বিরোধীদের অভিযোগ, ডেঙ্গি নিয়ে আসল পরিসংখ্যান গোপন করছে সরকার। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব বলেন, সরকার তথ্য গোপন করছে না।
তিনি বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডেঙ্গি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে তা জানাতে রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালে ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যসচিব আরও জানান, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে পুরসভাগুলিকে।
মুখ্যসচিব আরও বলেছেন, ভাইরাল জ্বরের খবর এসেছে। তবে সব জ্বরই ডেঙ্গু নয়। ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরিগুলি র‌্যাপিড টেস্ট করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে। নইলে ভুল রোগ নির্ণয় ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ল্যাবরেটরিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, সরকার পরিস্থিতির দিকে দৈনন্দিন ভিত্তিতে নজর রেখে চলেছে। রোগ প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সমস্ত পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন পুরসভার মাসিক অধিবেশনেও একই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। পুরসভা ডেঙ্গি-তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ তুলে কক্ষ ত্যাগ করেন তারা।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র পারিষদ, স্বাস্থ্য।

পুরসভা সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কড়া আইনের ভাবনা রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের।
অন্যদিকে, এদিন পুরসভার বাইরে ডেঙ্গি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় মহিলা কংগ্রেসও।