হাওড়া: স্রেফ সন্দেহের বশে নিজের তিন সন্তান সহ চারজন শিশুকে নদীতে ফেলে খুন!

অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিল উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালত।

২০১১ সালে নভেম্বরে হাওড়া বাগনানে দামোদর নদের চর থেকে চারটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় সোমবার টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা হাদি কুরেশি নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালত।মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করলেন উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শুভাশিস ঘোষ। এই ঘটনাকে ‘বিরলতম অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন বিচারক।

কিন্তু, কোন মামলায় অপরাধীকে চরম সাজা দিলেন বিচারক?

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে ১৪ নভেম্বর আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার নাম করে নিজের তিন শিশুসন্তান ও শ্যালিকার এক সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা হাদি কুরেশি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে চারজন শিশুকে নিয়ে ট্রেনে চেপে বাগনানে চলে যায় সে।  বাগনানের মহিষরেখা সেতুতে পৌঁছবার পর, ক্নান্তি ও ক্ষিদে ঘূমিয়ে পড়ে ওই চার শিশু।  এরপরই ঘুমন্ত অবস্থায় সেতু থেকে শিশুদের দামোদর নদে ফেলে দেয় হাদি খুরেশি।  ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে পালিয়ে যায় সে। পরের দিন বাগনানের রবিভাগ এলাকায় দামোদর নদী থেকে চার শিশু দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  বাড়ি লোকের অভিযোগে ভিত্তিতে যৌথভাবে তদন্তে নামে হাওড়া পুলিশ ও সিআইডি।  ২১ নভেম্বর বাগনানে ফিরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাদি কুরেশি। কিন্তু, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি,  জেরায় অপরাধও স্বীকার করে হাদি কুরেশি। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ছিল অপরাধীর। ভাবত, সন্তানগুলি অন্য কারোর। এই সন্দেহের বশেই নিজেরই তিন সন্তানকে খুন করে সে। সাক্ষী লোপাটের জন্য শ্যালিকার ছেলেও খুন করে।

আদালতে রায়ে খুশি মৃত শিশুদের পরিবার।