মালদা: ফের আক্রান্ত পুলিশ। এবার মালদার কুমারগঞ্জে। কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা দাগী দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর পরিকল্পিত হামলা। জখম ৫ পুলিশ কর্মী। কীভাবে আগেভাগে পুলিশি অভিযানের খবর পেল দুষ্কৃতীরা? উঠছে প্রশ্ন। স্বামীকে বাঁচাতে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বেই হামলা। অভিযোগ স্থানীয়দের। অস্বীকার কংগ্রেসের।

কিন্তু, কীভাবে আগেভাগে পুলিশি অভিযানের খবর পেল দুষ্কৃতীরা? নেপথ্যে পুলিশি অন্তর্ঘাত? উঠছে প্রশ্ন।

হুমকি থেকে তোলাবাজি একাধিক মামলায় অভিযুক্ত কুমারগঞ্জের ত্রাস মহব্বত শেখ। যে আবার কুমারগঞ্জের কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান মুসলিমা বিবির স্বামী। দীর্ঘদিন ধরেই মহব্বতকে খুঁজছিল পুলিশ। সেই মতো শনিবার রাতে অভিযানে বেরোয় পুকুরিয়া থানার পুলিশ।

ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১টা। মহব্বত শেখের ধৃত দুই সঙ্গীকে নিয়ে কুমারগঞ্জে পৌঁছয় পুলিশ। গাড়ি থেকে নামতেই মহব্বত শেখের নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা হয়। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় মহব্বত শেখের শাগরেদরা। বেধড়কর মারধর করা হয় পুলিশ কর্মীদের। গুরুতর জখম হন দুই এএসআই, মহিলা কনস্টেবল-সহ ৫ পুলিশ কর্মী। পুলিশের একটি জিপও ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, হামলার সময় সনাক্তকরণের জন্য নিয়ে যাওয়া মহব্বত শেখের এক সঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের দাবি, হামলার জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিল দুষ্কৃতীরা।

কিন্তু, পুলিশ যে অভিযানে যাচ্ছে, সেই খবর দুষ্কৃতীরা পেল কীভাবে? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত? থানা থেকেই কি ফাঁস পুলিশি অভিযানের খবর? পুলিশের অন্দরেই উঠছে এই প্রশ্ন।

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্বামীকে বাঁচাতে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বেই পুলিশের ওপর হামলা চালায় দুষ্কতীরা। ঘটনায় দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি মালদা উত্তরের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুরের। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশের উপর এই হামলার নেপথ্যে অন্তর্ঘাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।