বীরভূম: অসতর্কতার মাসুল। ইয়ারফোনে গান শুনতে শুনতে প্রাতঃভ্রমণের সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের প্রান্তিক স্টেশনে।
প্রতিদিনের মতো শনিবারও ইয়ারফোন গান শুনতে শুনতে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের গুরুদাস। পরিবারের দাবি, প্রান্তিক স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রাতর্ভ্রমণ করতেন তিনি। তারপর ফিরতেন বাড়িতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শনিবার প্রাতর্ভ্রমণের পর ইয়ারফোনে গান শুনতে শুনতে লাইন পার হচ্ছিলেন তিনি। তখনই সজোরে একটি ট্রেন এসে তাঁকে ধাক্কা মারে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গুরুদাসের। বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে রয়েছে। একমাত্র রোজগেরে সদস্যর মৃত্যুর পর তারা অকুলপাথারে। এমন দুর্ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল, তো নয়। এবছরের ১৫ জানুয়ারি হাওড়ার ফুলেশ্বরে কানে হেডফোন লাগিয়ে লাইন পেরোচ্ছিলেন এক তরুণী। পিছন দিক আসা আপ হলদিয়া লোকালের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।
২০১৪ সালের ১০ অগাস্ট নদিয়ার শান্তিপুরে হেডফোন কানে লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু কিশোরের৷ ২০১২ সালের ১৪ মার্চ হাওড়ার রামরাজাতলা স্টেশনে ইয়ারফোন লাগিয়ে লাইন পার হচ্ছিলেন এক যুবক। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।
খুঁজলে এরকম উদাহরণ মিলবে ভুরি ভুরি। কিন্তু, তাতেও হুঁশ ফিরছে কই?