মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ইতিমধ্যেই জিটিএ-র ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আমি ঘনঘন যাচ্ছি বলে হয়তো ওদের লুটেপুটে খাওয়া হচ্ছে না। ২ অগাস্টের মধ্যে জিটিএর নয়া বোর্ড গঠন করতে হবে। ৫ বছরে কী কাজ হয়েছে, সবাই দেখবে, মানুষ বুঝে নেবে।
নবান্ন সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত জিটিএকে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি ১৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য। গত তিনটি অর্থবর্ষে এই টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, তা দেখবে অডিট টিম। তারপর দু’সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে জমা পড়বে অডিট রিপোর্ট। এবং জিটিএ-র এই অডিট রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনবে সরকার।
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি সিএজি এক রিপোর্টে দাবি করে,কোনও প্রকল্পেরই ইউ সি বা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি জিটিএ। অর্থাৎ কোনও প্রকল্প শেষের পর যে সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা, জিটিএ তা জমা দেয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগও খতিয়ে দেখবে স্পেশাল অডিট টিম।
অর্থ দফতর সূত্রে খবর, জিটিএ-র হিসেবে গরমিল পেলে এফআইআর করা হবে। যাঁরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
প্রশ্ন উঠছে, জিটিএ-র অডিট নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের এই কড়া অবস্থানের জেরেই কি পাহাড়ে নতুন করে আন্দোলনের পথে হাঁটল মোর্চা? তাই কি ফের গোর্খাল্যান্ডের পুরোনো স্লোগানকে ফিরিয়ে এনে উস্কানি দেওয়ার পথে হাঁটল তারা?