আজ সকালেই শিলিগুড়ি থেকে বনধ নিয়ে মোর্চাকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বনধ বেআইনি। নিজে কিছু করতে পারছে না। মানুষের ক্ষতি করব, এটা ঠিক নয়। আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে। বনধ নিয়ে সুর কিছুটা নরম করেছিলেন গুরুংও। তিনি বলেন, বনধ ডাকিনি। যুব মোর্চা ডেকেছিল। আমরা ডাকব না। পর্যটকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। কিন্তু, এরপরই বৈঠকে বসে মোর্চা। আর দীর্ঘ বৈঠকের পরই অবস্থান পাল্টান গুরুংরা। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাহাড়ের সমস্ত সরকারি অফিসে বনধের ডাক দেওয়া হয়। রোশন গিরি বলেছেন, মিছিল এবং টর্চ র্যালি করা হবে। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও লেখা হচ্ছে।
যদিও, এর আগেই শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় বসে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, জঙ্গি আন্দোলনের সামনে মাথা নত করা হবে না। তিনি বলেন, অনেক কমপ্রোমাইজ হয়েছে। আর না। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আলোচনা হয়। নেগোশিয়েশন চলে। ভাল থাকা যায়। কিন্তু বোমা দিয়ে গুলি করে কিচ্ছু হয় না। আইন আইনের পথে চলবে। এবার পাল্টা কড়া অবস্থান নিল মোর্চা। ফের কি তাহলে পাহাড়জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অচলঅবস্থা তৈরি হবে?