অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোহন দাস, খানাকুল: বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা। মুর্শিদাবাদের পর, হুগলিতে গিয়ে নিহতদের পরিজনকে আর্থিক সাহায্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বজ্রাঘাতে মা-বাবাকে হারিয়েছে খানাকুলের শিশু। পরিবারের দাবি, ছোট্ট রাহিকার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল।


বুধবার মুর্শিদাবাদের পর আজ বৃহস্পতিবার হুগলিতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা বিপর্যয় নেমে আসা পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। মুর্শিদাবাদের পর হুগলিতে একই ভূমিকায় দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার বিকেলে বজ্রাঘাতে মারা যায় খানাকুলের এক শিশুর মা-বাবা। সবথেকে কাছের দুই মানুষকে হারিয়ে এখন সে একা। এদিন এই শিশুর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন প্রথমে পোলবা-দাদপুরের মহেশ্বরপুরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর তিনি যান তারকেশ্বর ও খানাকুলে। সেখানে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সোম ও মঙ্গলবার, এই দু’ দিনে বজ্রাঘাতে রাজ্যের ৮ জেলায় ৩২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সবথেকে বেশি ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে হুগলিতে। পোলবায় সাতটি পরিবারকে অর্থ সাহায্যের পর তারকেশ্বরে  রাজবাড়ির মাঠে ছটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে বজ্রপাতে মৃতের স্বামী অনিল দাস, স্ত্রী একমাত্র রোজগেরে ছিল, আমি অসুস্থ, ছেলের জন্য যাতে সাহায্য করেন তার জন্য বলেছি।


বুধবার বজ্রপাতে মৃত কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই পাশে দাঁড়ানো নিয়েও শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন, উনি যেখানে খুশি যাচ্ছেন। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি।


এদিকে, বাঁকুড়ার ইন্দপুরের গৌরবাজারে বজ্রপাতে মৃত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। আগেই রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হয় ২ লক্ষ টাকা। এদিন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দলের তরফে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন।