রুমা পাল, কলকাতা : স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন হেলথ প্যাকেজে কি রেট হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা হল নবান্নে। এ বিষয়ে গঠিত স্বাস্থ্য, অর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত কমিটির বৈঠক হয় শনিবার নবান্নে।

বৈঠকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বিভিন্ন হাসপাতালে হেলথ প্যাকেজের নতুন রেট যাতে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো সব জায়গাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় নবান্নে। নবান্নের এক শীর্ষকর্তা জানান রোগীদের মুখে হাসি উজ্জ্বল হয়, সরকারের পক্ষেও স্বস্তিদায়ক হয় এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও গ্রহণযোগ্য হয়  তেমনই হেলথ প্যাকেজের হার নির্ধারিত হবে। এ বিষয়ে কিছু খসড়া নথি বানানো হয়েছে তবে চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করা হবে খুব দ্রুতই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই বিভিন্ন হাসপাতালকে সতর্ক করছেন যেন রোগী ফেরানো না হয়, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে। নানা ক্ষেত্রে কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অভিযোগ উঠেছে যে তারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীদের নিতে চাইছে না।মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও এমন মন্তব্য করেছেন যে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক যেমন আছে তেমনি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মাথায় রাখা উচিত। সে পথেই দ্রুত হাঁটছে নবান্ন।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমার সংস্থান রয়েছে। সাধারণভাবে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে গৃহকর্ত্রীর নামে এই কার্ড জারি করা হবে তাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। বলাই বাহুল্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে সাড়া পাওয়া গিয়েছে এমনই মনে করছে নবান্ন।

সরকারের দুয়ারের সরকার শিবিরগুলোতে বহু মানুষ আসছেন এই কার্ড পেতে। নবান্নের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৫ শে জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা নিয়েছেন ৭৬ লক্ষ ২৬ হাজার ১৪২ জন। এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার কাজ করছে সরকার।

বস্তুত একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে দুয়ারের শিবিরের আয়োজন, তাতে স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবাকে রীতিমতো অগ্রাধিকার দিছে রাজ্য সরকার। এটাই হতে পারে গৈরিক শিবিরকে শাসকদলের কোণঠাসা করার একটি বড় অস্ত্র। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।