বাসন্তী: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। কাকদ্বীপের পর এবার বাসন্তী।
এক্ষেত্রেও উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। যার জেরে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের হাতে থানার মধ্যেই আক্রান্ত হল পুলিশ!
শনিবার সন্ধে থেকে খোঁজ মিলছিল না বাসন্তীর বাসিন্দা এই বালিকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে প্রতিবেশী আলতাফ সর্দারের বাড়ির পিছনে, পরিত্যক্ত রান্নাঘর থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। রবিবার সকালে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক আলতাফ ও তাঁর বাবাকে আটক করে পুলিশ।
পরে আটক করা হয় অভিযুক্তর বৌদিকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, টানা জেরার মুখে রবিবার রাতের দিকে অভিযুক্ত যুবক অপরাধ কবুল করে। এরপরই বাবা, বৌদি-সহ অভিযুক্ত আলতাফ সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চেয়ে সোমবার সকালে বাসন্তী থানায় স্মারকলিপি দিতে যায় হাজার খানেক গ্রামবাসী। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। থানায় ঢোকা নিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় বিক্ষোভকারীদের। আচমকাই থানা লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে ওসি কৌশিক কুণ্ডুর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ প্রথমে বলেছিল, এটা ধর্ষণের ঘটনা নয়। ঘটনাস্থলেও প্রথমে আসেনি। অভিযুক্তদের অনেক পর গ্রেফতার করা হয়।

যদিও পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ পাওয়ার পর যা যা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, সবই করা হয়েছে। এদিন মৃত বালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। থানায় গিয়ে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে।

গত বছরের নভেম্বরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে এই জেলারই কাকদ্বীপ। ধরা পড়েছে মাত্র এক অভিযুক্ত। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ রয়েছে পরিবারের। এবার কার্যত তারই পুনরাবৃত্তি বাসন্তীতে।