মুর্শিদাবাদ: কেউ গেছিলেন জল আনতে। কেউ মেঘ দেখেই ছুটেছিলেন ফসল তুলতে। কেউ বা দাঁড়িয়েছিলেন রাস্তার মোড়ে। কয়েক সেকেন্ডের বিদ্যুৎ ঝলকানিতে সব শেষ। রাজ্যজুড়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যুমিছিল।
বজ্রাঘাতে রাজ্যের ৮ জেলায় ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বেলা ১২ টা নাগাদ বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে কপ্টারে রওনা দেবেন তিনি।
প্রথমে তিনি পৌঁছবেন বহরমপুরে। সেখান থেকে গাড়িতে চড়ে যাবেন বজ্রাঘাতে মৃত প্রহ্লাদ মুরারি ও অভিজিৎ বিশ্বাসের বাড়ি।
এরপর কপ্টারে রঘুনাথগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কলকাতা রওনা দেবেন তিনি।
মুর্শিদাবাদে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা হয়। শুধুমাত্র জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছে ৭জনের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন।
বজ্রাঘাতে সবথেকে বেশি ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে হুগলিতে। বৃহস্পতিবার অভিষেক যাবেন হুগলির খানাকুল, হরিপাল ও পোলবায়।
এছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, নদিয়া ও বীরভূমেও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়াতেও মৃত্যু হয়েছে একজনের।
বজ্রাঘাতে মৃত্যুতে পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারের তরফেও বেশ কয়েকটি পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক করবী মান্না।
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা, শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। এর জন্য মৎস্যজীবীদের আগামীকালের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে সমুদ্রের যাওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।