শিলিগুড়ি: বাংলায় জমি দখলে মরিয়া বিজেপি। তিন দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। বুধবার যাবেন মমতার খাসতালুক ভবানীপুরে। তার আগে শিলিগুড়িতে বসেই এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুরটা বেঁধে দিলেন অমিত শাহ।
২০১৪ লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, ভবানীপুরে তৃণমূলের থেকে ১৭৬ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। ২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য বড় ব্যবধানে জেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি চলে যায় তিন নম্বরে। এদিন অমিত শাহ বলেন, বিজেপি বাড়ছে। লড়াই মমতার সঙ্গে নয়। লড়াই তাঁর সরকারের অপশাসন, রাজ্যের গরিবি, অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে।
বাংলায় এ বার যে ভাবে, অস্ত্র হাতে রামনবমী ও হনুমানজয়ন্তী পালন করেছেন গেরুয়া পরিবারের সদস্যরা, তার সমালোচনায় সরব তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বহুবছর ধরে চলা এই সব ধার্মিক অনুষ্ঠান নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলা এসে পাল্টা জবাব দিলেন অমিত শাহ। বললেন, দেশজুড়েই শোভাযাত্রা বের হয়। কোথাও তো অশান্তি হয় না তা হলে বাংলায় হচ্ছে কেন? কোনও সরকার বাধা দিতে পারে না। প্রশাসন তোষণ এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি না করলেই এ সব আর হবে না।
বিজেপির বুথ কমিটির সদস্যদের জনসংযোগ শেখাতে রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। তিন দিনের সফরের শুরুটা হয়েছে মঙ্গলবার, উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়ি থেকে। একদা অতি-বামেদের খাস তালুকে দাঁড়িয়ে অমিতের গলায় মোদির উন্নয়নের স্লোগান। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, হিংসার মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল নকশালরা। মোদীর মন্ত্র কিন্তু সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে নকশালবাড়ির থেকে উপযুক্ত জায়গা আর খুঁজে পাইনি।
বুধবার দিল্লি পুরসভার ভোটের ফল। বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, এবারও দিল্লিতে ঝড় তুলতে পারে বিজেপি। ঘরের মাঠেই বিপর্যয় হতে পারে আম আদমি পার্টির। অরবিন্দ কেজরীবাল অবশ্য, রবিবার ভোটের দিনও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সরব হন। যা নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন অমিত শাহ। বলেন, উনি যখন বিধানসভায় জিতেছিলেন, তখন কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। তখনও এই ইভিএমেই ভোট হয়েছিল। অথচ তখন ইভিএম নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন তোলেননি।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভুবনেশ্বরে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে থেকে, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির এখন লক্ষ্য, কংগ্রেসমুক্ত ভারত। বিরোধীমুক্ত ভারত গড়া। সেই লক্ষ্যেই দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন মোদির প্রধান সেনাপতি। অমিত শাহের পাখির চোখ এখন বাংলা।


দেখুন পুরো সাক্ষাৎকার: