কলকাতা: জনমত সমীক্ষা বলছে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা যখন উর্ধ্বমুখী, তখন বিজেপির গ্রাফ নামার ইঙ্গিত। আর এরইসঙ্গে এবিপি আনন্দ-লোকনীতি-সিএসডিএসের সমীক্ষায় এ-ও উঠে এসেছে, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের কাজ নিয়েও অসন্তোষের পারদ ক্রমেই চড়ছে বাংলায়।
২০১৭ সালের মে মাসের সমীক্ষায় মোদী সরকারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ছিলেন, বাংলার ৫৪ শতাংশ মানুষ। আর এই জানুয়ারিতে সেটা কমে হয়েছে ৪৬%। অর্থাত আট মাসে, মোহভঙ্গ হয়েছে ৮ শতাংশ বঙ্গবাসীর!
২০১৭ সালের মে মাসে মোদী সরকারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন, এমনটা বলেছিলেন এ রাজ্যের ২৪ শতাংশ বাসিন্দা। আর এখন অসন্তুষ্টের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৮ শতাংশ!
যদিও, সমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, সাত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর আস্থা বাড়ছে বাংলার মানুষের। ২০১৭ সালের মে মাসে মমতা সরকারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বলেছিলেন, ৪৭ শতাংশ। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৩ শতাংশ! গত বার তৃণমূল সরকারের কাজে সন্তুষ্ট নয় বলেছিলেন ৩৭ শতাংশ মানুষ। সেটা এবার কমে হয়েছে ২৭ শতাংশ।
অর্থাত, সন্তুষ্টি বেড়েছে বেড়েছে ১৬ শতাংশের! অসন্তুষ্টি কমেছে ১০ শতাংশের! অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা, ২ টাকা কেজি দরে চাল, স্কুলপড়ুয়াদের সাইকেল, জুতো প্রদানের মতো জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পের ডিভিডেন্ট পাচ্ছেন মমতা?
এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন হলে, কাকে আপনারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরেও পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে টেক্কা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! ২০১৭ সালের মে মাসে এ রাজ্যের ৪২ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁদের পছন্দ মোদী। এই জানুয়ারিতে সেই পছন্দ নেমে এসেছে একেবারে ২৬ শতাংশে!
অন্যদিকে, ক্রমেই ঊর্ধ্বমূখী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর জনসমর্থন। গত মে মাসে বাংলার তেরো শতাংশ মানুষ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী মমতা। আর এখন করা সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রাজ্যের ২৯ শতাংশ মানুষ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁদের পছন্দ তৃণমূলনেত্রী।
অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী পদে মোদী নন, সংখ্যাধিক্য বঙ্গবাসীর পছন্দ মমতা। যদিও এসব সমীক্ষার পূর্বাভাস মাত্র। আসল উত্তর মিলবে ভোট হলে।