গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম : এবিপি আনন্দের খবরের জের। বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশি প্রহরায় চলল ভ্যাকসিনেশন। পরিদর্শনে গেলেন খোদ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। সবমিলিয়ে খুশি ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। অথচ সোমবার এই বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছবিটাই ছিল একদম অন্যরকম। গ্রাহকদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে অনেককে ভ্যাকসিনের লাইনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে দালালরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক সন্দেহভাজনকে দেখতে পেয়েছিলাম আমরাও। প্রশ্নের মুখে অবশ্য তিনি চম্পট দেন। আর সেই প্রকাশ প্রকাশের জেরে ২৪ ঘণ্টাতেই বদলে গেল ছবিটা। তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। এদিন পুলিশি প্রহরায় বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুরু হয় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।
সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার অনেক সুষ্ঠু পরিবেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হল বীরভূমের বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পুলিশের নজরদারিতে চলল ভ্যাকসিনেশন। যা দেখে খুশি ভ্যাকসিন নিতে আসা লোকজনও। বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা এক ভ্যাকসিন গ্রাহক বলেছেন, 'আজ ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়েছি। প্রশাসনের উদ্যোগে ঠিকঠাক কাজ চলছে। পুলিশ আসা যাওয়া করছে।' অপরজনের কথায়, 'কাল তো সাঙ্ঘাতিক অবস্থা ছিল। এখন মোটামুটি ঠিকই আছে। পুলিশ ছাড়া দিচ্ছে না।'
ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ কেমন চলছে, তা দেখতে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেছেন, 'বোলপুর হাসপাতাল নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ শুনছি। গতকালই যোগাযোগ করি বিএমওএইচ-কে নির্দেশ দিই। বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেটা দেখতে এসেছি। সবাই চাই আগে, আমাদের কিছু করার নেই। যে আগে আসবে পাবে।' এমনিতেই চাহিদা বিপুল হলেও অভিযোগ, সেই তুলনায় ভ্যাকসিনের যোগান কম। তারপরও বীরভূম জুড়ে সুষ্ঠুভাবেই ভ্যাকসিনেশন চলছে বলে দাবি করছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের মাঝেই রাজ্যে ভ্যাকসিন অপ্রতুলতার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যের যেরকম জনঘনত্ব তা মাথায় রেখে ও রাজ্যের মোট জনসংখ্যা বিচার করে সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ানো হোক বলেই প্রধানমন্ত্রী কাছে তিনি দাবিও জানিয়েছেন বলে দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।