কলকাতা: কৃষি আইন প্রত্যাহার ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ''দেশের কৃষকদের আন্দোলনের জয় হল। প্রধানমন্ত্রীর বিলম্বে বোধদয় হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি বুঝতে পারছেন যে কৃষকরা তাঁদের পাশে আর নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত। এর জন্য পার্লামেন্টের বাইরে, ভেতরে প্রচুর লড়াই করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হল যে এতগুলো কৃষকের মৃত্যু হল, সেইদিকটা কে দেখবে?''


'দেশের অন্নদাতারা ঔদ্ধত্যের সামনে সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন। অবিচারের বিরুদ্ধে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন।' ট্যুইট করে জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya) বলেন, 'লক্ষ লক্ষ কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভেবেই, কৃষি উন্নয়নের কথা ভেবেই এই আন্দোলন ছিল। এটা প্রমাণ হল, কংগ্রেস যেটা আজ ভাবে মোদি সরকার সেটা আগামীকাল ভাবে। ৯ মাস ধরে কংগ্রেস কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলে এসেছে, এই আইন বাতিল করতেই হবে। সংসদে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, আইন তৈরির পরে কী করে বাতিল করা সম্ভব? আজ তা সম্ভব হল। কংগ্রেস এবং কৃষি আন্দোলন যারা তৈরি করেছেন, তারা যা বলে এসেছেন তা যে যথার্থ, তা প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে ভারতের লক্ষ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবে। ভারতের জিডিপি-র হার বৃদ্ধির জন্য কৃষি উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। এই আইন বাতিল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'


 দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে  কেন্দ্রীয় সরকার।  গুরু নানকের জন্মদিনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।  এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার খেতে ফিরে আসুন।  প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, এতে কৃষকদের জয় হল।  বিরোধীদের জয় হল। হার হল বিজেপির।  


২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।  তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়।  কংগ্রেস সহ বিরোধীরাও সরব হয় ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে। আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন।  তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও পড়ুন: 'অবিচারের বিরুদ্ধে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন' ট্যুইটে শুভেচ্ছাবার্তা রাহুল গাঁধীর