জয়দীপ হালদার, ডায়মন্ড হারবার: ৬১ দিন পর ফের ইলিশের সন্ধানে সমুদ্র পাড়ি দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীরা। গত ২ বছরের রুপোলি শস্যের জোগানের অভাব এবার মিটবে বলেই আশা মৎস্যজীবীদের।
পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার ট্রলার। ৬১ দিনের বিরতি শেষ। ফের সেই চেনা ব্যস্ততা। ফের অকুল সমুদ্রে পাড়ি দিলেন মৎস্যজীবীরা। জলের গায়ে বিলি কেটে যাত্রা করল একের পর এক ট্রলার। আশা একটাই, এবার ভালো ইলিশ পেলে গতবারের ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। গত সপ্তাহেই রাজ্যে এসেছে বর্ষা। আর এই আবহে রুপোলি শস্যের আশায় বঙ্গবাসীও। কবে পাতে পড়বে সুস্বাদু ইলিশ? সেই আশায় বসে আছেন বহু মানুষ। সরকারি বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হতেই বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরের জলে ভাসল ট্রলার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, রায়দিঘি, সাগর, পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন বন্দরে মঙ্গলবার থেকেই ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। কিছুদিন আগেই ওড়িশা উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে জালে ধরা পড়েছে রুপোলি শস্য।
মাঝে মাঝেই কয়েক পশলা বৃষ্টি। জলের স্রোত ঠেলে এগিয়ে চলছে ট্রলার। স্বপ্ন, জাল ভরে ইলিশ তুলে আনার। মৎস্যজীবীদের আশা, এবার ভালো মাছ উঠবে। কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী শিবপ্রসাদ দাসের কথায়, ভালো মাছ হবে এই আসা করছি, এবার ভালো মাছ উঠলে আমরাও বাঁচব। তবে সবটাই হচ্ছে করোনা বিধি মেনে। ট্রলারে মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডায়মন্ডহারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক)জয়ন্তকুমার প্রধান বলেন, কোভিড বিধি মেনে সব ট্রলার যাচ্ছে, কিছুদিন আগে ওড়িশা উপকূলে ইলিশ মাছ মিলেছে, আমাদের আসা এবার ভালো মাছের জোগান হবে। ডায়মন্ডহারবারের এক ট্রলার মালিক বিকাশ দাস বলেন, কোভিড বিধি মেনেই যাওয়া হচ্ছে, ট্রলারে মাস্ক স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে।