কলকাতা: আজ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফল প্রকাশ। পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় হতে চলেছে জয়েন্টের ফল প্রকাশ। এবছর জয়েন্টে বসেছিলেন ৯২ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী।
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর আড়াইটার সময় ফল প্রকাশিত হবে এবারের রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স প্রবেশিকা পরীক্ষার।
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পর্ষদের তরফে আরও বলা হয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে ডাউনলোড করা যাবে র্যাঙ্ক-কার্ড।
জুলাই মাসের ১৭ তারিখ হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির প্রবেশিকা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। করোনা আবহে বিধি মেনে প্রথম সশরীরে পরীক্ষা দেয় ছাত্রছাত্রীরা।
করোনা আবহে রাজ্যজুড়ে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হচ্ছে অনলাইনে।
এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্যে প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেন পড়ুয়ারা। বিশেষ অনুমতি পেয়ে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ও মেট্রোয় চড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন পরীক্ষার্থীরা। করোনাবিধি মেনেই হয় ওই পরীক্ষা।
এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৬৯৫। তার মধ্যে রাজ্যের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬০ হাজার ১০৫ জন। ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থী ৩২ হাজারের বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ। পরীক্ষা হয়েছিল ২৭৪টি কেন্দ্রে।
দুটি পর্যায়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হয় পেপার ওয়ান ম্যাথমেটিক্স পরীক্ষা। পরের ধাপে দুপুর ২টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি পরীক্ষা হয়।
কার্যত লকডাউনে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও, চলছিল স্টাফ স্পেশাল। মেট্রো চালু হলেও, পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে চলছিল শুধুমাত্র এক্সাম স্পেশাল।
সেদিন স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ও মেট্রোয় ওঠার অনুমতি পেয়েছিলেন জয়েন্টের পরীক্ষার্থীরা। অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে মেলে টিকিট।
পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হয়েছিল সুরক্ষাবিধি। এক পরীক্ষার্থী বলেন, একটা ভয় ছিল, তবে এখন সব ঠিক আছে। আরেকজন বলেন, চিন্তায় ছিলাম, এক হলে কী ভাবে। এটা দেখে মনে হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও হতে পারত।