বাঁকুড়া:  গত বছরের ১২ জুলাই পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন আকাঙ্খা শর্মা। সেদিনই মোবাইল ব্যবহার করে হাওড়া ফেরার টিকিট কাটেন তিনি। পাসবুক খতিয়ে দেখে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তাহলে কি উদয়ন মিথ্যে বলছে বুঝে, তাকে ছেড়ে বাঁকুড়া ফিরতে চাইছিলেন আকাঙ্খা? সেটাই কি তাঁর খুনের কারণ?


উদয়নকে ছেড়ে কি বাঁকুড়ায় ফিরতে চাইছিলেন আকাঙ্খা? সেই পরিকল্পনাই কি তাঁর কাল হল? সেকথা জানতে পেরেই কি তাঁকে খুন করেছে উদয়ন?

তদন্তে উঠে আসা তথ্য দেখে এসব প্রশ্নই দানা বাঁধছে পুলিশের মনে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত বছরের ১২ জুলাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ভোপাল থেকে হাওড়া ফেরার টিকিট কাটেন আকাঙ্খা।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান,  সম্ভবত উদয়নের সঙ্গে অশান্তির জেরে বাঁকুড়ায় নিজের পরিবারের কাছে ফেরা মনস্থ করেন ওই তরুণী। সেই মতোই তিনি হাওড়া ফেরার টিকিট কাটেন।

আর একথা জেনে ফেলার পরই আকাঙ্খাকে খুন করে উদয়ন। কারণ, আকাঙ্খা বাড়িতে ফিরে এলে উদয়নের সমস্ত মিথ্যে ধরা পড়ে যেত। এতদিন ধরে তৈরি করা মিথ্যে জগৎ ভেঙে চুরমার হয়ে যেত।

যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরার মুখে উদয়ন বারবার দাবি করছে, সে আকাঙ্খার ফেরার বিষয়ে কিছু জানে না।

এরই মধ্যে উদয়নের নৃশংসতা সম্পর্কে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরার মুখে উদয়ন ঠান্ডা মাথায় নির্বিকার চিত্তে স্বীকার করেছে,

আকাঙ্খাকে খুনের পর তাঁর মুখে প্লাস্টিক পেঁচিয়ে দেয়। যাতে শ্বাস আটকে মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় উদয়ন জানিয়েছে,

নিজের মা-বাবাকে খুনের ক্ষেত্রেও একইরকম পন্থা নেয় সে। গলা টিপে মারার পর তাঁদের মুখেও প্লাস্টিক জড়িয়ে দেয় সে।

পুলিশ সূত্রে দাবি, একথা শুনে তদন্তকারীদের অনেকে চমকে উঠেছেন! কিন্তু, উদয়ন একইরকম ভাবলেশহীন!