অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মাথা ফেটে গুরুতর জখম তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। আহত সেই কর্মীকে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনার পরেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় ২ পক্ষই একে অপরের দিকে আঙুল তোলা শুরু করে। যদিও এই ঘটনার পরই পুলিশ আসে। তৃণমূল কর্মীর আহত হওয়ার ঘটনায় বিজেপির অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে আলিপুর থানার পুলিশ।
বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ঝামেলা চলছেই। বিভিন্ন ইস্যু নিয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু রবিবার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। এদিন সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত সাহেবপোতা এলাকায়। জানা যায়, বিজেপির অঞ্চল সভাপতি অক্ষয় কর্মকার (৬০)-এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর দে (৩২) ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর অভিযোগ, বিজেপির অঞ্চল সভাপতি অক্ষয় কর্মকার তার দুই ছেলেকে নিয়ে আক্রমণ করে আচমকাই। তাঁর মাথায় পাথরের আঘাত মারা হয়। এমনকী ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। মূলতঃ তৃণমূল কংগ্রেস করার জন্যই এই আক্রমন বলে দাবি তাদের।
এদিকে অভিযোগ পুরো উড়িয়ে দিয়েছে বিরোধী পক্ষ। আটক বিজেপি অঞ্চল সভাপতির ছেলের দাবি এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের পতাকা নামাতে গেলে বারংবার তার বাবাকে মদ্যপ অবস্থায় বাধা দিতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর দে। জোর করে পতাকা খুলতে গেলে, অক্ষয় কর্মকারের মুখে ঘুষি মারে তৃনমূল কং কর্মী। মুখ ফেটে যায় বিজেপি অঞ্চল সভাপতির। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর ছেলে। এরপরই ধস্তাধস্তি শুরু হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে সমরের পরিবারও। এরপর সেই ধস্তাধস্তিতে পড়ে যায় নেশাগ্রস্ত সমর। ফেটে যায় মাথা। এরপরই আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ বিজেপি অঞ্চল সভাপতি অক্ষয় কর্মকারকেই গ্রেফতার করে।