অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আধার কার্ড জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। শনিবারই এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে আলিপুরদুয়ার জংশন ফাঁড়ির পুলিশ। 


শনিবার আধার কার্ড জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে হানা দেয় পুলিশ। সেই সময় সেই গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে প্রচুর মানুষের লাইন ছিল। প্রত্যেকেই সেখানে আধার কার্ড বানাতে এসেছিলেন। সেখান থেকেই ২ ব্যক্তিকে আটক করে আলিপুরদুয়ার জংশন ফাঁড়ির পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি অসমে। অপরজন আলিপুরদুয়ার জংশনের স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এই মুহূর্তে। তবে সেই বিষয় পুলিশ বেশি মুখ খুলতে চায়নি এখনই।


গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের যেই মেশিন থেকে যাবতীয় কাজ করা হত, সেই মেশিনও নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আপাতত সেই মেশিনগুলোই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে অনেক ভুয়ো আধার কার্ডা বানানো হয়েছে সেই মেশিনের মাধ্যমে। 


এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভুয়ো আধার কার্ড ও আধার কার্ড জালিয়াতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় অতিরিক্ত টাকা খরচ করে আধার কার্ড দেওয়া হচ্ছিল এলাকার মানুষদের। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতে অতি আবশ্যক আধার কার্ড। সরকারি নিয়মে বিনামূল্যেই এই কার্ড গ্রাহকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা পেতেই গ্রাহকদের দিতে হচ্ছিল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায় রীতিমতো অফিস খুলে প্রতারণা করছিল জালিয়াতি চক্রটি। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে সেই জালিয়াতির পর্দা ফাঁস করেছিল পুলিশ।


গত মাসে বিধাননগরে হোম লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছিল বিধাননগরে। সেবারও বিধাননগর পুলিশের তৎপরতায় মূল পাণ্ডা সহ ৩ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। এদিনও ঠিক তেমনই আলিপুরদুয়ারেও পুলিশের হস্তক্ষেপে পর্দা ফাঁস হল আধার কার্ড জালিয়াতি চক্রের। ধৃতদের এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতেই রাখা হয়েছে।