সনৎ ঝা, বাগডোগরা: তিনদিন ধরে ঘরেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, তথচ জানতেই পারেনি কেউ। এবার ঘটনাস্থল  শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের বাগডোগরা থানার অন্তর্গত ভুজিয়াপানি এলাকা। আজ শনিবার এই ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ পেতেই সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রামকিশোর গুরুং। তিনি হাসিমারার বাসিন্দা।


রাহুল ঝা নামে এক ব্যক্তি এবং রামকিশোর গুরুং ওই বাড়িতে একসঙ্গেই থাকতেন বেশ অনেকদিন ধরেই। দু-জনে একে অপরের ভাল বন্ধু ছিলেন বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই বাড়িতেই মারা যান রামকিশোর। তবে রামকিশোর মারা যাওয়ার তিনদিন পরও রাহুল কেন কাউকে কোনও খবর দেননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুন নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাহুল ঝাঁ-এর মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 


শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের বাগডোগরা থানার পুলিশ রাহুল ঝাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদিকে রামকিশোরের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।