কলকাতা: পাখির চোখ একুশের ভোট। তা মাথায় রেখে বিশেষ দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরের খবর, রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করে নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। এই ৫ জোনের দায়িত্বে থাকবেন বিজেপির ৫ কেন্দ্রীয় নেতা। এঁরা হলেন -- সুনীল দেওধর, বিনোদ সোনকার, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওরে ও হরিশ দ্বিবেদী।
সূত্রের খবর, মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে ত্রিপুরায় জয়ের কান্ডারি সুনীল দেওধর। রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বে বিনোদ সোনকার। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে হরিশ দ্বিবেদী।
কলকাতা জোনের দায়িত্বে দুষ্মন্ত গৌতম।
বিজেপি সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় বুথ স্তরে পৌঁছবেন বিস্তারকরা। রাজ্যে আইটি সেলের কর্মকাণ্ড দেখবেন অমিত মালব্য।
বিধানসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় বসে বিজেপির বৈঠক। সূত্রের খবর, আলোচনা হয় রাজ্যে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন এবং প্রচারের অভিমুখ নিয়ে।
বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল রাতেই রাজ্যে এসেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। একুশের ভোটের কথা মাথায় রেখে তাঁকে এ রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
কাল রাতে শহরে এসে পৌঁছেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল দেওধরও। ত্রিপুরায় বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর সুনীল দেওধরকে আপাতত পাঠানো হয়েছে হাওড়া, হুগলি এবং মেদিনীপুরের দায়িত্ব দিয়ে।
এই তিন জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাবেন দিল্লিতে।
এদিকে, এদিনই একুশের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসতে চলেছে বাম-কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, বৈঠকে আলোচনা হবে বিধানসভা ভোটে আসন ফর্মুলা নিয়ে।
জোটের বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বামফ্রন্ট। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুদের মন বুঝতে বৈঠকের আগে আজ ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নান।
এর আগে পুজোর মধ্যে আলোচনায় বসেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা।