টাকা না পাওয়ার অভিযোগে হাসপাতালের প্রাক্তন সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভের পাশাপাশি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে তাড়া করা হয় ৷ পালিয়ে সাইকেল স্ট্যান্ডে আশ্রয় ৷ বৃহস্পতিবার রাতে এমন ছবিই ধরা পড়ে কাটোয়া হাসপাতাল চত্বরে। প্রাক্তন সুপার রতন শাসমল হাসপাতালে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন ঠিকাদার ও তাঁদের কর্মীরা। অভিযোগ, ২ ঠিকাদারের কাছে ২৮ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে শোধ করেননি প্রাক্তন সুপার। পাশাপাশি শোধ করেননি খাবার, চিকিত্সা সরঞ্জাম ও আসবাব কেনার ২ কোটি টাকার বিল।
অভিযোগকারী ঠিকাদার শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘সুপার ২৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা দিচ্ছিলেন না। তাই ঘেরাও করে রেখেছি ৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রাক্তন সুপারকে উদ্ধার করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ’’
কাটোয়া হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার রতন শাসমল জানাচ্ছেন, ধার নেওয়ার কথা মিথ্যে। অনেক কাজ আমাকে দিয়ে করাতে চেয়েছিল। আমি করিনি ব্যক্তিগত আক্রোশে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। গত নভেম্বরে কাটোয়া থেকে বাঁকুড়ার খাতরা হাসপাতালে বদলি হন রতন শাসমল। নতুন সুপার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবারুণ গুপ্ত। অভিযোগ, বদলি হওয়ার পর প্রায়ই হাসপাতালে আসেন তিনি।
ঠিকাদার সংস্থার কর্মী সম্রাট বিশ্বাস জানাচ্ছেন, ‘‘উনি এখানে প্রায়ই রাতের বেলা আসেন। হাসপাতাল চত্বরে ঘোরেন ৷’’ কাটোয়া হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার রতন শাসমল জানাচ্ছেন, ‘‘এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি বলব না। আমার কি মানা আছে হাসপাতালে ঢোকার?’’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নবারুণ গুপ্ত সুপারের দায়িত্ব গ্রহণের পরই জানা যায়, বকেয়া বিলের কথা। সুপার নিজে জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ৷’’ যদিও অভিযোগের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন সুপার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।