শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তুফানগঞ্জ পুরসভার তিন বিজেপি নেতাকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করল দল। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজিতে বাধা দেওয়ায় এই ঘটনা বলে দাবি করেছেন সাসপেন্ডেড বিজেপি নেতারা। গেরুয়া শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


দলবিরোধী কাজের শাস্তি? না কি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলার জের? তিন বিজেপি নেতাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় উঠছে এইসব প্রশ্ন। কোচবিহারে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।

জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তুফানগঞ্জের ৩ দলীয় নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বুথ সভাপতি জয়ন্ত মজুমদার, লক্ষ্মণ কর্মকার ও মনোজয় কর্মকার।

এ প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ শহরের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি রিপন পাল বলেছেন, ‘দলবিরোধী কাজের জন্য এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অনৈতিক কাজ করেছিলেন এই তিনজন।’

যদিও সাসপেন্ডেড নেতারা পাল্টা দাবি করেছেন, দলের নেতাদের তোলবাজির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। লক্ষ্মণের দাবি, ‘মেসেজে জানলাম সাসপেন্ড করেছে। আমি পুরনো দিনের বিজেপি কর্মী। দলের কোন পদে নেই। যারা বহিষ্কার করছে তারা অন্য দল থেকে এসেছে। তারা নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। ওরা তোলাবাজি, টাকা তোলায় যুক্ত। প্রতিবাদ করেছিলাম, তাই বহিষ্কার করেছে।’

বিজেপির অন্দরের কোন্দল সামনে আসতেই কটাক্ষ করতে দেরি করেনি তৃমমূল। কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, ‘নব্য ও আদি বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল লেগে আছে। আমাদের সঙ্গে অনেক নেতা কথা বলছেন। আগামীদিনে তাঁরা তৃণমূলে আসবেন।’

গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভাভিত্তিক ফলে তুফানগঞ্জে ৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ায় অস্বস্তিতে বিজেপি।

সম্প্রতি বর্ধমান শহরে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি দেখা যায়। বিজেপির জেলা কার্যালয় দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপিরই একাংশের বিরুদ্ধে। দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় ভাঙচুর, দাবি বিক্ষোভকারীদের। পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। জেলার নেতাদের বিরুদ্ধেও গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ।

অন্যদিকে, বিজেপির আদি বনাম নব্যের দ্বন্দ্বে বিক্ষোভ আসানসোলেও। অরবিন্দ মেনন, বাবুলের সামনেই আসানসোলে বিক্ষোভ। পুরনোদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে নামিয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসের শাটার। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। পদে থাকবেন যোগ্যরাই, বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস বাবুলের।