মালদা: তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঘিরে বোমাবাজির অভিযোগে উত্তপ্ত মালদার রতুয়া। কাঠগড়ায় স্থানীয় বিজেপি নেতা। দলবদল না করার রোষেই হামলা বলেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল শিবির। অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি শিবিরের পাল্টা দাবি হামলার নেপথ্যে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিবাদ।


একমাস আগে বিধানসভা ভোটপর্ব চুকেছে। তবে ভোট পরবর্তী অশান্তির রেশ এখনও কাটেনি রাজ্যে। কখনও কখনও তার আঁচ গিয়ে পড়ছে রাজনৈতিক কর্মীর বাড়ির অন্দরমহলেও। মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি এই ৯ বছরের শিশুকন্যা আর তার মা, যাঁদের সঙ্গে রাজনীতির দূর-দূরান্তের সম্পর্ক নেই, তাঁরাও এই অশান্তির হাত থেকে রেহাই পেলেন না। 


মঙ্গলবার রাতে মালদার রতুয়া থানার চাঁদমণিতে তৃণমূল কর্মী আনিসুর রহমানের বাড়ি ঘিরে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন গভীর রাতে যখন সবাই ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই এলোপাথাড়ি বোমাবাজি করা হয়। স্প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন তৃণমূল কর্মী, তাঁর স্ত্রী ও ৯ বছরের মেয়ে। ৩ জনই গুরুতর জখম অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।


আহত তৃণমূল কর্মী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, স্থানীয় বিজেপি নেতা নূর আয়েস, আমায় বিজেপিতে যোগ দিতে বলছিল। আমি রাজি হইনি, সেই রাগে হামলা করেছে। মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর, দুলাল সরকারের কথায়, ' পুলিশকে বলেছি ঘটনার তদন্ত করতে, আইন যাতে কেউ হাতে তুলে না নেন, সেটা দেখতে বলেছি। '


বোমাবাজির ঘটনায় বিজেপি নেতার নাম জড়ালেও, অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি পার্টি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এই অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, রতুয়ার চাঁদমণিতে বোমাবাজির ঘটনায় ৫ জনের নামে এফআইআর হয়েছে। যে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, সেই নূর আয়েশ পলাতক বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কী থেকে অশান্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।