পার্থপ্রতিম ঘোষ, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিউটাউনে ভর দুপুরে এনকাউন্টার। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে সাপুরজি-পালনজি আবাসনে লুকিয়ে থাকা পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টারের গুলির লড়াই। দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যু, এসটিএফের একজন অফিসার আহত। কোথায় মূল পাণ্ডা জয়সিংহ পারমার? তল্লাশি পুলিশের।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই এই দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছিলাম। আজ আমাদের কাছে পাকা খবর আসে, ওরা ওখানে লুকিয়ে আছে। তখন আমরা দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য অভিযান চালাই। আমরা যখন গ্রেফতার করতে যাই, তখন ওরা বাধা দেয় এবং গুলি চালাতে শুরু করে। এরপর আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। গুলির লড়াইয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের একজন ইন্সপেক্টরের গুলি লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৯ রাউন্ড গুলি এবং ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলছি। পঞ্জাব পুলিশের একটি দলও এখানে এসেছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
আজকের অভিযানের বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘বেলা ১২টা নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে, দুষ্কৃতীরা এখানে লুকিয়ে আছে। তারপর থেকেই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। রেকি করে অভিযানের জন্য পুরোপুরি তৈরি হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে। যে অফিসাররা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার জন্য এসেছিলেন, তাঁরা এখানে পৌঁছন বিকেল তিনটে-সাড়ে তিনটে নাগাদ। আবাসনের ২০১ নম্বর ঘরে ছিল দুষ্কৃতীরা। আমরা এখানে যে তথ্য পাচ্ছি, তার ভিত্তিতে তদন্ত চালানো হচ্ছে। যে দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের একজনের মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা এবং অপরজনের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। পঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের পরিচয় জানানো হয়েছে আমাদের। পঞ্জাব পুলিশ নয়, আমরাই তদন্ত চালাচ্ছি। পুলিশ গুলি চালিয়েছে, ফলে যে পদ্ধতি রয়েছে, তার ভিত্তিতেই তদন্ত হবে। তারপর নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হবে।’