শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: আগাম জামিন পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা আদালতের আইনজীবীর বিরুদ্ধে! গভর্নমেন্ট রেকর্ড অফিসারের সই ও সিল জাল করে ভুয়ো সারেন্ডার স্লিপ দেওয়ার অভিযোগ। মানতে নারাজ অভিযুক্ত আইনজীবী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে শোকজ করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন।


গভর্নমেন্ট রেকর্ড অফিসারের সই ও সিল জাল করে। ১০ অভিযুক্তের কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা আদালতের আইনজীবীর বিরুদ্ধে! বিতর্কের কেন্দ্রে এই সারেন্ডার  স্লিপ। 


কোনও মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন নেওয়ার পর হাতে পান সারেন্ডার  স্লিপ। স্লিপে থাকে GRO বা গভর্নমেন্ট রেকর্ড অফিসারের সই ও সিল। একটি মামলায় ১০ অভিযুক্তের নামে গত ২৪ জুলাই ইস্যু করা হয় এই সারেন্ডার স্লিপ। 


অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আগাম জামিনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়ে এই স্লিপ দেন আইনজীবী বিপ্লব বর্মন। কিন্তু, কেউই জামিন পাননি। পরে জানা যায় সারেন্ডার স্লিপগুলি ভুয়ো।


অভিযুক্তের আত্মীয় সচিন বর্মন জানিয়েছেন, জামিনের জন্য উকিলবাবুকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। সে বলল জজ কোর্ট থেকে বেল হয়ে গিয়েছে। আমাদের একটা কাগজ দেয়। পরে জানতে পারি সেই কাগজটা জাল। জিআরও বাবুর সই ও সিল ওখানে ভুয়ো। তারপর আমরা উকিলকে ধরার চেষ্টা করি। উনি একবার দেখা করেন। তারপরে আর পাওয়া যায়নি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইনজীবী।


অভিযুক্ত আইনজীবী বিপ্লব বর্মনের দাবি, পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। এখানে কিছু লাইসেন্স বিহীন ল-ক্লার্ক আছে, যাঁদের কাজ হল দালালি। তারাই একাজ করেছে। 
আমার নামে মিথ্যা অভিয়োগ করা হচ্ছে।


অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা মাথাভাঙা বার অ্যাসোসিয়েশন ও মুহুরি ইউনিয়নে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই ওই আইনজীবীকে শোকজ করা হয়।


মাথাভাঙা  বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবি বাসুনিয়ার কথায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে অনেকে বলছে ভুয়ো। কেউ বলেছে ঠিক। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই উনাকে শোকজ করা হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শোকজের উত্তরের পর নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।