সুজিত মণ্ডল, নদীয়া: নদিয়ার হরিণঘাটায় ৩৩ দিনের সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠল জন্মদাত্রী মায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মা কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩৩ দিনের কন্যা সন্তানকে বটি দিয়ে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটা থানার মহাদেবপুর উত্তর পাড়ায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকেই পরিবারের লোকজন শিশুটিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চারিদিকে খোঁজ শুরু হয়ে যায়। এরপর দেখা যায় বাড়ির শৌচালয়ের পাশে গলা কাটা রক্তাক্ত দেহটি। মাথাটি পড়ে ছিল কিছুটা দূরে। পুলিশ শিশুটির মস্তক ছিন্ন দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপরই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।


পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জয়ন্তী ভৌমিকের প্রায় নয় বছর আগে বিয়ে হয়। গত তিন মাস আগে সন্তান প্রসবের জন্য বাপের বাড়ি আসেন জয়ন্তী। শ্বশুরবাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে।


গত মাসে তার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আজ সকালে জয়ন্তী সকলের অলক্ষে রান্নাঘরে আনাজ কাটার বটি দিয়ে গলা কেটে খুন করে শিশুটিকে। পরিবারের লোকের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত মা জয়ন্তী ভৌমিককে। তবে কি কারণে নিজের সন্তানকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করেছে, তা তদন্ত করে দেখছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ।


অভিযুক্ত মহিলার দাদা জয়ন্ত দেবনাথ বলেন, 'বাচ্চা ও বাচ্চার মা আর জি করে ভর্তি ছিল। ৩ দিন আগেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ পায়। বাচ্চার মা প্রায় ৮-৯ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। ওষুধ চলছিল। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা বলেছিলেন যে সেই ওষুধগুলো আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।'


অভিযুক্তের মা শোভা দেবনাথ বলেন, 'বাচ্চাটা আমার কাছেই ঘুমোয় রাতে রোজ। কিন্তু এদিন সকালে ওঠার পর থেকেই ওকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। এরপরই খোঁজ করি সবাই।'