রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ। প্রতিবাদে ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা জানান, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ না মেলায় পথ অবরোধ করেন তাঁরা।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তাঁরা আসছেন ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, লাইনে দাঁড়ালে হাসপাতালের তরফে ইস্যু করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাপের টোকোন সিলিপ, কিন্তু মিলছে না ভ্যাকসিন। প্রতি সপ্তাহে একদিন শুধু বৃহস্পতিবার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। আর সেই দিন ৩০০ -৪০০জনকে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন, কিন্তু লাইনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন তাঁদের অভিযোগ, টিকা নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে এই মেসেজ মোবাইলে এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা নিতেও বলা হয়েছে। কিন্তু অমিল ভ্যাকসিন। এই অভিযোগে চরম বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। আর ভ্যাকসিন না পাওয়াতে চরম বিক্ষোভ ঘটনাস্থলে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ।
ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানি থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ প্রথম নয়। ভ্যাকসিন-হয়রানির অভিযোগে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে গতকাল বিক্ষোভ দেখান পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ না মেলায়, বাইরে কাজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের আশ্বাস, গ্রামে শিবির করে আগামীকাল ৪০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
রাজ্যে করোনার দাপট শুরু হওয়ার প্রথম দিকে জয়নগর, কুলতুলির শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরেন। পরিযায়ীদের দাবি, এলাকায় তেমন কাজ না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যেতে হবে ভিনরাজ্যে। কিন্তু বাইরে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। পরিযায়ীদের বিক্ষোভের পরই তৎপর হয় প্রশাসন। শুক্রবার কুলতলিতে পরিযায়ীদের জন্য ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার ধাক্কায় কাজ হারিয়ে অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই প্রেক্ষাপটে ভ্যাকসিন নিয়েও তাদের হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।