জয়দীপ হালদার, সুন্দরবন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির কাছে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও এক মত্‍স্যজীবীর দেহ উদ্ধার হল বৃহস্পতিবার রাতে। এই নিয়ে নিখোঁজ ১০ মত্‍স্যজীবীর দেহ উদ্ধার করল প্রশাসন। গত বুধবার বকখালির থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দূরে রক্তেশ্বরী চড়ার কাছে ডুবে যায় ট্রলারটি। এরপর সেই বিধ্বস্ত ট্রলার থেকে ২ জনকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিলেন ১০ মত্‍স্যজীবী। পরে সেই ট্রলারটিকে নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জে। এরপর ট্রলারের ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় ৯ জনের দেহ। গতকাল রাতে বকখালির থেকে কিছুটা দূরে বঙ্গোপসাগরে আরও এক মত্‍স্যজীবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 


বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয় অনাদি শাসমল বলে একজন মৎসজীবীর দেহ। বকখালি থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে দেহটি ভাসছিল। বৃহস্পতিবার রাতেই দেহ ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দর ঘাটে বডি আনা হয়। এরপর দেহ শনাক্ত করেন  পরিবার। 


রবিবার এফবি হৈমবতী নামে একটি ট্রলারে করে ফ্রেজারগঞ্জ থেকে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১২ জন মৎসজীবী। বুধবারই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরে বকখালির রক্তেশ্বরীর চরের কাছে যুবে যায় ট্রলারটি। এরপরই তৎপর হয় প্রশাসন।


বুধবার মাঝরাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়ায় নিয়ে আসা হয়। রাতভর তল্লাশিতে ট্রলারের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৯ জন মৎস্যজীবীর দেহ। উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে রাতে ফ্রেজারগঞ্জে যান সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও সুন্দরবনের পুলিশ সুপার। আজ দেহ সনাক্ত করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, নিখোঁজ মৎসজীবীর ফিরে আসা নিয়ে আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ছিল তাঁদের পরিবারও।


মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছে প্রশাসন। তবে এভাবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৎসজীবীদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখনও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অনেকেই। প্রসাশনের তরফে মৃতদের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হলেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন।