কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। কিন্তু তার আগে রাজনীতির লড়াইটা ধীরে ধীরে যেন তর্কের পরিসর ছাড়িয়ে মাঠে-ময়দানে অশান্তির আকার নিচ্ছে!  বৃহস্পতিবার  ডায়মন্ডরহারবার যাওয়ার পথে শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কনভয়ে হামলা হল! বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ - প্রত্যেকের গাড়ির কাচ ভেঙে ছত্রখান! এই নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে দোষারোপের পর্ব চলছে।

এরই মধ্যে মধ্যে খবর, নাড্ডার পর রাজ্যে এবার আসছেন অমিত শাহ। চলতি মাসের ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর তারিখে বাংলায় আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অংশ নেবেন দলের তিনটি আলাদা কর্মসূচিতে।  দলীয় সূত্রে খবর,  অমিত শাহ যেতে পারেন জেলা সফরেও। ইতিমধ্যেই নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে ট্যুইটে সরব হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  অমিত শাহ একের পর এক ট্যুইট করে বলছেন, 'আজ বাংলায় বিজেপি-র সভাপতি জেপি নড্ডাজির উপর আক্রমণ খুব নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই হিংসার জন্য বাংলার সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষদের জবাব দিতে হবে।...তৃণমূল শাসনের অধীনে বাংলা অত্যাচার, অরাজকতা ও অন্ধকারের যুগে পরিণত হয়েছে। টিএমসি-র অধীনে বর্তমানে বাংলায় যে ভাবে রাজনৈতিক হিংসা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে এবং চরম আকার নিচ্ছে তা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব মানুষের কাছেই দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।'

এর আগে নভেম্বর মাসের শুরুতেই রাজ্যে আসেন অমিত শাহ। দু দিনের বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ  যান বাঁকুড়ায়। বৃহস্পতিবার বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মালা দিয়ে সফর শুরু করেন তিনি। দুপুরের খাবার খান এক আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে। ভোট এলেই এসব মনে পড়ে, কটাক্ষ তৃণমূলের। এই মাল্যদান নিয়েই তরজা জমে ওঠে। তৃণমূল ও আদিবাসী সমাজের একাংশ দাবি তোলে, মূর্তিটি বীরসার নয়, এক শিকারীর। এতে করে অমিত শাহ অপমানই করেছেন বীরসা মুণ্ডাকে, অতএব ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি তোলে তারা।
সফরের দ্বিতীয় দিনে বাগুইআটিতে মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ। পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে মতুয়া মন ধরে রাখতেই এই কৌশল। বিষয়টি নিয়ে নেতাদের বাগযুদ্ধে তেতে ওঠে রাজনীতির আঙিনা।