নয়াদিল্লি: প্রাতঃস্মরণীয় বিপ্লবী নায়ক রাসবিহারী বসুকে তাঁর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নজিরবিহীনভাবে বাংলায় টুইট করেছেন তিনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে কিছুদিন ধরে দড়ি টানাটানি চলছে। এবার কি রাসবিহারীও সেখানে নতুন সংযোজন হতে চলেছেন?
অমিত শাহ লিখেছেন, আমি অগ্রগণ্য বিপ্লবী শ্রী রাসবিহারী বসু মহাশয়কে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। যাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি গদর আন্দোলন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।তাঁর আত্মবলিদান আগামী প্রজন্মকে সর্বদাই অনুপ্রাণিত করবে।
দেখুন তাঁর টুইট
আবার ইংরেজিতেও এই একই টুইট করেছেন তিনি।
সামনে কড়া নাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট। এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ জয়ের জন্য পুরোদস্তুর ঝাঁপিয়েছে এতদিন রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক থাকা বিজেপি। আর বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন হল মনীষীরা ঢুকে পড়েছেন! রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে বিদ্যাসাগর, নেতাজি কিংবা...ঋষি অরবিন্দ! নেতাজির জন্মদিন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, নেতাজির জন্মদিন উদযাপিত হবে পরাক্রম দিবস হিসেবে। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ঘোষণা করেছেন, তাঁরা পালন করবেন দেশনায়ক দিবস। ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবি, তেইশে জানুয়ারি পালিত হোক দেশপ্রেম দিবস। ঠিক এই প্রেক্ষিতে রাসবিহারীকে নিয়ে বাংলায় অমিত শাহের টুইট নিঃসন্দেহে আলাদা তাৎপর্য বহন করে।
২০২২ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একশো পঁচিশতম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হবে। সেই মেগা ইভেন্টের প্রস্তুতি ক্রমশ যেন বদলে যাচ্ছে ভোট ফ্যাক্টরে। তাল ঠুকছে সব পক্ষ। সমাজের বিভিন্ন মহলের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ভোটের বাংলায় বাংলা ও বাঙালি যখন অন্যতম প্রধান ইস্যু, তখন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বাধিনায়ককে নিয়ে আবেগ ছাড়তে রাজি নয় কেউ। আজাদ হিন্দ যাঁর হাতে গড়ে উঠেছিল, এই পরিস্থিতিতে সেই রাসবিহারীও কি তাঁর উত্তরসূরী সুভাষচন্দ্রের মতই ঢুকে পড়লেন বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে?