কলকাতা: বাংলার মাটিতে পা দিয়েই নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের তরফে চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়ে দিলেন, নির্বাচন কমিশন জানে, কীভাবে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করাতে হবে।
এর আগে রাজ্য সফরে এসে ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈনও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তব্য গাফিলতি হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে।
এবার সফরের প্রথম দিনই ফুল বেঞ্চ বুঝিয়ে দিল, অবাধ নির্বাচন করতে তারা বদ্ধপরিকর। কিন্তু কীভাবে তা করা হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। রাজ্যে ক’দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে? ১০০ শতাংশ বুথই কি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে? এই সব প্রশ্নের উত্তর পরে মিলবে।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল ৭২৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সেই সংখ্যা এবার ৩০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফুল বেঞ্চের সদস্য হিসেবে এসেছেন, চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা এবং দুই ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার ও সুশীল চন্দ্র। তাঁদের সঙ্গে এসেছেন কমিশনের একাধিক আধিকারিক।
সম্প্রতি বাংলায় এসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন। সূত্রের খবর, সেইসময় রাজ্যে জামিনঅযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত কিন্তু গ্রেফতার নয়, এরকম সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার। তবে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার।
এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক হয় ফুল বেঞ্চের। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই আরিজ আফতাবকে চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেন, ডাস্টার দিয়ে মুছে দিন কবে কী হয়েছে। মন প্রাণ খুলে কাজ করুন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা পালন করুন। নির্বাচন কমিশন জানে কীভাবে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করাতে হবে।
তবে এদিন ফুল বেঞ্চের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, জ্ঞানবন্ত সিংকে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।